বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার সব নথি হাইকোর্টে সে পৌঁছেছে।
রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইনতভাবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।
গত বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায়ে তার স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে মিন্নিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে বরগুনা জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে।
এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, মো. রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। অন্যদিকে, খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সায়মুন।
বিশ্বে করোনা মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ ৩৭ হাজার
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহ নেওয়াজ রিফাতকে নৃশংসভাবে ধারালো দা দিয়ে কোপানো হয়। হাসপাতালে তিনি মারা যান। পর দিন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে এক নম্বর সাক্ষী করা হয়েছিল। এর মধ্যেই ২ জুলাই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর গত বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দু’টি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।