DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ১৯শে জুলাই ২০২৫
ঢাকাশনিবার ১৯শে জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল

DoinikAstha
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১ ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্কঃ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছিয়াত্তর কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১২টা ৩০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ। এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে রায় পড়া শুরু হয়।ভাষার মাসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মামলার রায় বাংলায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ওয়াসিম আকতার, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।

গত ১ ফেব্রুয়ারি এই দ্বৈতবেঞ্চে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য হয়।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। এতে ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামির সাজা বহাল চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জন কারাগারে এবং ১১ জন পলাতক। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে ৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৪ আগস্ট রায়ের সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন :  খাগড়াছড়িতে এনসিপি’র নেত্রী ও নেতার পাল্টাপাল্টি জিডি

এরপর তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে নথি উপস্থাপন করা হলে তিনি জরুরি ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন। মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত শেষে কার্যতালিকায় দেওয়া হয়।

এছাড়াও মামলার অভিযুক্ত আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সারোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]