শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব গুদিঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিগ্যান নামে এক নারী অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত দুই শিশুর নাম হাফিজুল (১৩) ও তাইফা (৩)। এ ঘটনায় ইলিয়াস নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ইউপি সদস্য মোঃ গোলাম কবির বলেন, ‘মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে রিগ্যানের পার্শ্ববর্তী আয়লা-পাতাকাটা এলাকার গোলাম কবিরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়ায় কন্যা সন্তান তাইফাকে নিয়ে গত তিনবছর ধরে বাবার বাড়িতেই থাকেন রিগ্যান। মা ফুলমতি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি বরগুনা শহর সংলগ্ন খাজুরতলা আবাসনের একটি ঘরে বসবাস করেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে দুলাভাই ইলিয়াস গুদিঘাটা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আসে। শ্যালিকা রিগ্যানকে একা ঘরে পেয়ে ইলিয়াস ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী গোলাম খবিরের ছেলে হাফিজুল এগিয়ে এলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাফিজুল, রিগ্যানের তিন বছর বয়সী শিশু কন্যা তাইফাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
ইলিয়াসের অস্ত্রের আঘাতে রিগ্যানের মেয়ে তাইফা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। প্রতিবেশীরা এসে হাফিজুল ও রিগ্যানকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপতাল নিয়ে আসে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাফিজুলের মৃত্যু হয়। রিগ্যান বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, নিহত শিশু হাফিজুল একই এলাকার গোলাম খবিরের ছেলে এবং তাইফা আহত রিগ্যানের মেয়ে। রিগ্যান পূর্বগুদিঘাটা এলাকার মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে।