স্ত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায়, স্বামী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে জখম
বাউফল প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রী মোছাঃ লিমাকে (১৯)কে ইভটিজিংয়ের (যৌন হয়রানি) প্রতিবাদ করায় স্বামী হৃদয় আকন (২৩) ও বাবা মোঃ ইমরান রাঢ়ীকে (৪৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহত দুই ব্যক্তির মধ্যে ইমরানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের বান্দের বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
হৃদয় বাড়ি একই ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামে এবং ইমরানের বাড়ি চরআলগী গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত দুই ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিয়ের অনুষ্ঠানে হৃদয় আকনের স্ত্রী লিমাকে ইভটিজিং করে একই এলাকার নাসির মৃধার ছেলে মোঃ মিরাজ হোসেন (১৮)।
এ বিষয়টি লিমা তাঁর বাবা ইমরান ও স্বামী হৃদয়কে জানান। ইমরান এ বিষয়টি মিরাজের বাবা নাসিরকে জানান। নাসির ছেলের পক্ষ নিয়ে ইমরানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন হৃদয়। হৃদয় এ বিষয়টি বান্দের বাজার এলাকায় বসে উত্তেজিত হয়ে মুঠোফোনে একজনকে জানাচ্ছিলেন। ওই সময় নাসিরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ইমরান ও হৃদয়ের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ইমরানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নাসিরের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করে অসুস্থ বলে ভাই মোঃ বাবলুর সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
তিনি (বাবলু) ওই মুঠোফোনে বলেন,‘আজকে (বুধবার) সকালে ইমরানের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁর ভাতিজা মিরাজকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে রাতে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। রাতের মারামারির ঘটনায় সাইদুল (২৫), মোঃ চান মিয়া (৫০) ও মোঃ নাসির (৩০) নামে তাঁদের তিন স্বজন আহত হয়েছে। তবে ইমরান ও তাঁর জামাই হৃদয়কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তাঁর ভাই নাসির ও তাঁর ছেলে মিরাজ জড়িত না।
বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।