DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাশনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

জয়পুরহাটে আলুর বাড়তি দামে বিপাকে ক্রেতা

Ellias Hossain
আগস্ট ১৯, ২০২৩ ৩:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জয়পুরহাটে আলুর বাড়তি দামে বিপাকে ক্রেতা

 

জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের নতুন হাটে সদাই কিনতে এসেছিলেন স্বপ্না আক্তার। তার স্বামী একজন রিকশাচালক। তার আয় দিয়েই সংসার চলে তাদের। খাবারে তালিকায় আলু তাদের নিত্য দিনের সবজি। অন্যান্য সবজি, ডিমের পর বাজারে হঠাৎ আলুর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।

স্বপ্না বলেন, ‘স্বামী রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে। আলুর দাম বেশি হওয়াতে খুব সমস্যায় পড়েছি। সরকারের কাছে দাবি জানাই, বাজার যেন সহনশীল পর্যায়ে থাকে।’ এ জন্য বাজার নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান তিনি। একই দাবি জেলার নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের।

জয়পুরহাটে সংকট না থাকলেও, হঠাৎ করে খুচরা বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। সাম্প্রতিক সময়ের চেয়ে চলতি বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। আলু উৎপাদনের দেশের অন্যতম এই জেলা আলুর দাম বৃদ্ধির সুর্নিদিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না হিমাগার সংশ্লিষ্টরা।

পাইকারি ব্যাবসায়ীরা বলছেন, আলুর সংকট নেই, পর্যাপ্ত আলুর মজুদ আছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করায় বাজারে আলুর দাম উর্ধ্বমুখী।

কঠোর বাজার তদারকির মাধ্যমে আলুর দাম সহনীয় পর্যায় রাখার দাবি ভোক্তাদের। আর বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলছে, কেউ মজুদ রেখে আলুর সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলু উৎপাদনের দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জয়পুরহাট জেলা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ১৯টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেন এখানকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। কিছু দিন আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। বর্তমানে জাত ভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। এতে ভোক্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি বছর আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। হিমাগারে মজুদ ১ লাখ ৬৪ হাজার টন আলুর মধ্যে ১৭ শতাংশ উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট আলু জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিদেশে।

বাজারে আসা হোসেন আলী বলেন, ‘বাজারে আলুর দাম অনেক বেশি। আমি একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আমার পক্ষে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে আলু কিনে খাওয়া অসম্ভব।’

জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমার রায় বলেন, বাজারে আলুর কোনো সংকট নেই। কেউ যদি আলু মজুদ করে সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালায়, তাহলে তাদের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার এনামুল হক বলেন, ‘আলুর সংকট নেই, কয়েকটি সংস্থার সমন্বেয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কঠোর বাজার তদারকির মাধ্যমে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ৩:৩৬
  • ৫:১৫
  • ৬:৩১
  • ৬:১৬