ছাত্রদের ওপর যৌন নির্যাতন তথা বলাৎকারের ঘটনা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে ধর্ষনের মতোই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ নম্বর ধারা সংশোধন করে বলাৎকারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আলিয়া এবং কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা শিক্ষক নিয়োগ প্রদান ও মহিলা শিক্ষক দ্বারা শিশুদের পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, শিক্ষা সচিব, ধর্ম সচিব, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাঠানোর পর ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষক কর্তৃক ক্রমবর্ধমান ছাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ইরফান ও তার বডিগার্ডের বিরুদ্ধে চার মামলা তদন্তের নির্দেশ
তিনি বলেন, দেশে দুই ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা পদ্ধতি চালু আছে। যেমন আলিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসার সংখ্যা লক্ষাধিক। এসব মাদ্রাসাতে প্রায় কোটির কাছাকাছি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই মাদ্রাসাগুলোতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে কোমলমতি ছাত্ররা ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের শিক্ষক দ্বারা। এসব যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ফলে অনেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুও ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমকে ধর্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। ফলে এ ধরনের যৌনসঙ্গমের শাস্তি অনেক কম থাকায় মাদ্রাসার শিক্ষকরা এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে।