ইউনূসের কর ফাঁকির ১২ মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচ বছরে প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি ও ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত ১২ মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট। তবে অন্য কোর্টে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ সোমবার (৫জুন) বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ জানান, কনিষ্ঠ বিচারপতি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।
গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০১২-১৭ এ পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে, ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ’ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে-সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫শ ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮শ ২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩শ ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫শ ৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২শ ১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ মোমেন্টেস এর তথ্যমতে জানা যায়, এরই মধ্যে ডক্টর ইউনূসের ব্যক্তিগত ও তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠিও দিয়েছিল দুদক। পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল।