রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে-পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে। বিদ্রোহীদের কার্যকলাপকে তিনি পিঠে ছুরিকাঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। যারা রাশিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। রাজধানী মস্কো এবং অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। কারো নাম উল্লখ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন। কারও কারও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ‘তীব্র রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ দিকে যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পট বদলে গেছে। এতদিন রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রুপ হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তারা। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে এবার রুশ বাহিনীর ওপরই হামলা করছে তারা।
রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তর ক্রেমলিনের মুখমাত্র দিমিত্রো পেসকোভ জানিয়েছেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে পুতিনকে শুরু থেকেই সার্বক্ষণিকভাবে অবহিত করা হচ্ছে। বিষয়টি আরও ঘোলাটে হওয়ায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার এ ভাষণটি টেলিভিশনে প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা টাস নিউজ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বার্তায় প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তার সেনারা রোস্তোভ শহরটি অবরুদ্ধ করবে এবং রাজধানী মস্কোর দিকে এগিয়ে যাবে যতক্ষণ না প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এবং জেনারেল ভেলেরি গেরাসিমোভ তাদের সঙ্গে দেখা করতে না আসছেন। দেখা যাচ্ছে, রোস্তোভে দখলকৃত সদর দপ্তরে বিচরণ করছেন ওয়াগনার সেনারা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি। আমরা চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সোইগুর সঙ্গে দেখা করতে চাই। যতক্ষণ তারা না আসছে, আমরা এখানে থাকব, আমরা রোস্তভ অবরুদ্ধ করব এবং মস্কোর দিকে এগিয়ে যাব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন দু’জন জেনারেলের সঙ্গে বসে আছেন। যার মধ্যে একজন হলেন সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট জেনারেল ভ্লাদিমির আলেক্সেসেভ। এই জেনারেল এর আগে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি প্রিগোজিনকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পুরো পরিস্থিতিই কেমন যেন ঘোলাটে হয়ে গেছে। তবে রাশিয়াকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করে সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিন।