সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত-১, আহত-১৩
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ পুলিশসহ ১৩ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসির গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বাঁশঘাটে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত দুজন হলো, মোঃ মনির ও কুতুব উদ্দিন। নিহত চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল ফজলের ছেলে।
চকরিয়ার স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে, চকরিয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা করার পূর্ব ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ সেখানে জানাজা পড়তে দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে বিকাল সাড়ে ৪টায় কয়েক হাজার লোক চকরিয়া পৌরসভার লামার চিরিংগা এলাকায় জড়ো হয়ে জানাজা শুরু করে। এ সময় অজ্ঞাত মুখোশধারী অর্ধশত লোক গিয়ে গুলি বর্ষণ শুরু করে। যেখানে জানাজা পণ্ড হয়ে গেলে অজ্ঞাত লোকজন গুলি বর্ষণ করতে করতে লাঠি দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই এসব লোকজন পালিয়ে যায়। পরে জানাজায় আসা লোকজন ইটপটকেল নিক্ষেপ করে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়ে তিনিসহ পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কে কোন দলের তা নিশ্চিত নন তিনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়ায় জানাজা নিয়ে সংঘটিত সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে গুলি বর্ষণ পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়নি। এতে হতাহত কতজন তা বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, নিষেধ করা সত্বেও স্থান পরিবর্তন করে গায়েবানা জানাজা পড়ে তারা। পরে মিছিল নিয়ে পৌর শহরের সহাসড়কে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ভাংচুর করা হয় পুলিশ ও পাবলিকের গাড়ি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৃত্যুর ব্যাপারে ইউএনও বলেন, হয়ত নিজেদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তা তদন্ত করা হবে।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়ে তিনিসহ পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কে কোন দলের তা নিশ্চিত নন।