গিনেস বুকে নাম লেখালেন ঠাকুরগাঁওয়ের অংকন
আব্দুল্লাহ আজাদ/ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঁচটি রাবার (ইরেজার) একটির উপরে আরেকটি দাঁড় করিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম লেখালেন ঠাকুরগাঁওয়ের অংকন। এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের রাসেল স্কিপিং এ একাধিকবার গিনেস বুকে নাম লিখেয়েছিলেন।
ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ এন্ড টপেল ফাইভ ইরেজার অর্থাৎ দ্রুততম সময়ে শুইয়ে রাখা পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির উপরে আরেকটি ফেলে গিনেস বুকে নাম লেখিয়েছেন ঠাকুগাঁওয়ের কৃত সন্তন ও জগ্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের মেধাবী ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অংকন।
বুধবার (২৩আগস্ট) বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ইমেইলের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়।
জানা যায়, ২.৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে তিনি নতুন রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই রেকর্ডর মালয়েশিয়ান এক নাগরিকের দখলে ছিল। যিনি ৩.৬৪ সেকেন্ডে রেকর্ডটি গড়েছিলেন। গত ১৭ মে রেকর্ডের বিষয়ে মেইল করলে ২৩ আগস্ট ফিরতি বার্তায় অংকনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে গিনেস বুক।
অংকনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট থেকেই আমার নতুন বা প্রোডাক্টিভ কিছু করার ইচ্ছা। করোনাকালে ঘরে বসে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ করে একদিন গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের চিন্তা মাথায় এল। এরপর থেকে এটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলাম। এর আগে রেকর্ডের প্রচেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছিলাম।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নিজের সন্তানের নাম আসায় বেশ খুশি অংকনের বাবা-মাসহ, বন্ধু- বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন, প্রতিবেশিসহ পুরো ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ।
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ও জাহেদা বেগন দম্পত্যির বড় সন্তান জাহিদুল ইসলাম অংকন।
অংকনের বাবা ও মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাহিরে থেকে কল করে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে, যে আপনার ছেলে অনেক ভালো কাজ করেছেন ।বাবা মায়ের কাছে সন্তানের সাফল্যটেই নিজের সাফল্য। আমরা অনেক বেশি খুশি। আমরা তার জন্য দোয়া করি সেযেন সামনের দিনে আরও ভালো কিছু করতে পারে। আর আপনারও আমাদের ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
অংনের স্কুল জীবনের সহপাঠী ইফতেখার আমীর সম্রাটের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাদের বন্ধু অংকন মেধাবী একজন ছেলে তার এমন সাফল্য তে আমরা বন্ধুবান্ধবরা সবাই বেশ খুশি তার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইল।
অংকনের প্রতিবেশি মোস্তফা জামান বলেন, ছোট বেলা থেকেই অংকনকে দেখি সে দারুন মেধাবী সে আমাদের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে। ঠাকুরগাঁওকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে যা আমাদের জন্য আনন্দের।