DoinikAstha Epaper Version
ঢাকামঙ্গলবার ৪ঠা মার্চ ২০২৫
ঢাকামঙ্গলবার ৪ঠা মার্চ ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে টেকসই ঝুঁকিতে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ

রায়হান জামান, স্টাফ রিপোর্টার
মার্চ ৪, ২০২৫ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নদীমাতৃক বাংলাদেশের মোট আয়তনের ছয় ভাগের এক ভাগ জুড়ে রয়েছে হাওর-জলাভূমি। হাওরভূমি বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

হাওর এলাকার প্রায় ৬৭ শতাংশ জনগণ সরাসরি কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতি বছরে অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে হাওরে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে।

হাওরের ফসল রক্ষার্থে পূর্বে স্থানীয় জনগণ সম্মিলিতভাবে বাঁধের ব্যবস্থা করলে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ সরকারের ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’- এর উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম চালু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সরকারি উদ্যোগে হাওর এলাকাগুলোতে ডুবো বাঁধ  (সাবমারজিবল এ্যামব্যাঙ্কমেন্ট) নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধ দেওয়ার  প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে হাওরের ফসল রক্ষার পাশাপাশি হাওরের জীব, পরিবেশ ও প্রতিবেশকে রক্ষা করা।

কিন্তু কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘটেছে এর উল্টো। ফসল রক্ষার বাঁধ নিজেই পড়েছে ঝুকিঁতে।

সরেজমিনে ইটনা উপজেলার কুনিয়ার হাওর, জিওলের হাওরসহ আরও কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা যায়, বাঁধ নির্মাণের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দায়সারাভাবে মেরামতে ব্যস্ত পিইসির সভাপতিরা। বাঁধগুলোর পাশ থেকে গর্ত করে কাটা হচ্ছে মাটি। আবার অনেক স্থানে নদী থেকে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে কাদামাটি তুলে ফেলা হচ্ছে বাঁধে। যার ফলে কাজ সমাপ্ত হওয়ার পূর্বেই বাঁধের গোড়া থেকে মাটি ধসে পড়ার দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। অথচ নিয়ম অনুযায়ী দূর থেকে ড্রাম ট্রাকে মাটি এনে বাঁধ মেরামতের কথা। কিন্তু জিওলের হাওরে একটি প্রকল্প ছাড়া কোথাও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে করে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের ।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, টেক্সসই বাঁধ না হলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাওরের বোরো ধান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নজরদারির অভাবে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষার বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব বাঁধ মজবুত না হলে বাঁধ করা আর না করা সমান। অযথা সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনও কোনো বাঁধ সম্পন্ন হয়নি। এ অবস্থায় আসন্ন বোরো মৌসুমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাওড়ের ফসল।

আরো পড়ুন :  ধামইরহাটে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির চেষ্টায় অর্থদণ্ড

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ৯টি উপজেলায় প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ  ১২৯টি ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইটনায় ৪০ টি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাঁধ মেরামত কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। কোনো উপজেলায়  কাজের  ত্রুটি বিচ্যুতি পেলে ইতোমধ্যে সেগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আর আপনারা যেগুলোতে ত্রুটি পাবেন আমাদেরকে জানাবে । আমরা সেগুলো ঠিক করার ব্যবস্থা করবো।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, প্রতি বছরই আমরা বাঁধ নিয়ে এমন অভিযোগ পাই। এবার কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।  অনিয়ম হলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৪
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:০৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৯
  • ১২:১৪
  • ৪:২২
  • ৬:০৫
  • ৭:১৮
  • ৬:২০