কিশোরগঞ্জে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬০ হাজার ৮৪০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৩ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল।
আগামী ১৫ই মার্চ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে দিনব্যাপী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হবে।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জেলার ১৩ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ীসহ মোট ২ হাজার ৯৩৪টি টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদেরকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইনে দায়িত্ব পালন করবে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে ১ হাজার ৫০৭ জন এবং প্রথম সারির তত্ত্বাবধায়ক জনবলের সংখ্যা ৩৮২ জন। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আনসার-ভিডিপি সদস্য, টিকাদান কেন্দ্রের বাড়ির সদস্য, স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট কর্মী, গার্লস গাইড, এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন বিভাগের ৪ হাজার ৬৬১ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্ধারিত বয়সের প্রতিটি শিশুকে টিকাদান কেন্দ্রে এনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সিভিল সার্জন সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো অসুস্থ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, সুস্থ হওয়ার পরবর্তী এক মাস উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। এ সংক্রান্ত কোনো গুজবে কান না দিতেও সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. দিদারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল করিম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. পল্লব কুমার দেবনাথসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।