মেলান্দহ উপজেলার ২ নং কুলিয়া ইউনিয়নে কৃষক প্রশিক্ষন কৃষক মাঠ স্কুল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা অধীনস্থ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত মাঠ পর্যায়ে কৃষক মাঠ কৃষক স্কুলে এই প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় মেলান্দহ উপজেলার ২ নং কুলিয়া ইউনিয়নে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত ধান,গম ও পাট বীজ উৎপাদন ,সংরক্ষন ও বিতরন প্রকল্পের আওতায় কৃষক মাঠ স্কুল এর প্রধান সমন্বয়ক নূর ইসলাম এর বাড়িতে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ফয়সাল আহমেদ। স্থানীয় কৃষকেরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে বেশি লাভবান হতে পারবে,কোন পদ্ধতিতে বীজ বপন ও সংরক্ষন করবে তার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবিদ ফয়সাল আহমেদ বলেন, কৃষকের কাছে এসে তাদের সমস্যার কথা জানতে হবে। সব খাতেই এখন আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে, কিন্তু বাংলাদেশের কৃষিখাত এখনো সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন হয়নি। এ খাতকে এগিয়ে নিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। গ্রামের কৃষকদের প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকায় অনেকে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে। তাই এসব কৃষদের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকার মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। কৃষক স্কুল পাঁচ ভাগে মাঠ পর্যায়ে কর্মশালা সম্পন্ন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বীজতলা থেকে শুরু করে ধান কেটে পুনঃরায় বীজ সংরক্ষন করা পর্যন্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে।এই কর্মশালায় পনেরো জন কৃষককে কারিগরি ভাবে এই প্রশিক্ষন দোওয়া হয়।
কৃষক ইসমাঈল হোসেন বলেন,আজকে আমরা অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারলাম।এর আগে বীজতলা তৈরী করতে আমাদের সহায়তা করেছিল, এখন চাষাবাদে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কম খরছে অধিক ফসল না পাইলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হব। আজকের প্রশিক্ষন থেকে নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পারলাম।