চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) কেন্দ্রের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদের ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে চবি কর্মচারীকে মারধর সহ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পুত্রকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহকারী মো. আলমগীরকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার (২ অক্টোবর) মো. আলমগীর বাদী হয়ে জাকের আহমেদ, তার দুই পুত্র মোজাহিদ চৌধুরী ও মোস্তাফিজকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার এস আই রাজিব বলেন, বাদী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ওসি তদন্ত স্যারের কাছে আছে। ঘটনার তদন্তে বিষয়টিতে নিয়মিত মামলা রুজু হতে পারে।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.৪৫ টার দিকে অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনী মসজিদের পাশে সাঈদের দোকানের সামনে বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা দশজন লোক আমাকে একলা পেয়ে অতর্কিতে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে জখম করে।
বিবাদী জাকের আহমেদ আমাকে হত্যার উদ্দেশে লাঠি দ্বারা মাথায় আঘাত করে। তারা আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কর্মচারী মো. আলমগীর বলেন, ২০০৫ সাল থেকেই তাদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব খাটিয়ে তারা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে৷ এর জেরে আমার ছোটভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে জাকের আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের জমির উপর বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল।
চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জাকের আহমেদকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পিতা-পুত্রের লাগামহীন একের পর এক অপকর্মের যেন শেষ নেই।একের পর এক ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে চলেছে। কেউ কথা বললেই মারধর করছেন পিতা-পুত্র মিলে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ। যার জন্য তাকে জেলে যেতে হয়েছে কয়েকবার।
গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহকারী মো. আলমগীরকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পুত্রকে সাথে নিয়ে ওই কর্মচারীকে মারধর করেন তিনি।