কুমিল্লায় রানা হত্যা মামলার রায়ে ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিলার আদর্শ সদর উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় স্যানেটারি মিস্ত্রি রানা খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মোঃ জুয়েল, মোঃ শিপন, রিপন মিয়া, রিপন, আলাউদ্দিন, শুভ, কাজল ও হাবিব। এদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় শিপন ও আলাউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, মোঃ সোহেল, বাদল মিয়া, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেন। এদের মধ্যে ইকবাল ও বাদল পলাতক। বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত প্রত্যককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালের ১ মে রাতে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া নিয়ে যৌনাঙ্গ ও গলাকেটে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনার পরদিন রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তে আরো ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে রবিবার দুপুরে এ রায় দেন ঘোষণা করেছেন আদালত।
নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার পর আসামিদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।