DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ১৭ই মে ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ১৭ই মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাকা-১৮ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের পরিকল্পনার অভাবে বিএনপির পরাজয়!

News Editor
নভেম্বর ১৩, ২০২০ ৮:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা-১৮ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের পরিকল্পনার অভাবে বিএনপির পরাজয়! সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ‘রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি’র কারণে ধানের শীষ প্রতীকের পরাজয় অনুমেয় ছিল বিএনপির। কিন্তু দলটির প্রত্যাশা ছিল অন্তত এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া, নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা ইত্যাদি। এ লক্ষ্যে প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগের কমতি না থাকলেও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের পরিকল্পনার অভাব ছিল বেশ।

পাশাপাশি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপি এবং অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় দলটি সক্রিয় হওয়ার চেয়ে আরো চাপে পড়েছে বলে মনে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা।

তবে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, এটা কোনো নির্বাচন হয়নি, এটা একটা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার যৌথ প্রযোজনায় এই উপনির্বাচন ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে, তামাশা হয়েছে। সরকারের ইচ্ছানুযায়ী তাদের প্রার্থীকে জিতানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের যা কিছু করা দরকার তারা সেটাই করেছে।

ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে যুবদল ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আটজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এরমধ্যে জাহাঙ্গীর ছাড়াও নানা কারণে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন ও তরুণ ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিন সাদী। এসব প্রার্থীদের মধ্যে কফিলকে দুই-এক দিন গণসংযোগে জাহাঙ্গীরের সাথে দেখা গেছে। কিন্তু সাদী একদিনের জন্যও নামেননি।

বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে আ.লীগ প্রস্তুত: কাদের

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও সাদী সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাড়াবাড়িতে কিছু নেতাকর্মী টিম নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় স্থায়ী কমিটি আওয়ামী লীগকে দায়ি করে নিন্দা জানায়। কিন্তু তারপর দিনই স্থানীয় পর্যায়ের ১৮ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও মহাসচিব এই বহিষ্কারের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুমসহ অন্যান্যদের চাপে ওই নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে সাদীর সাথে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও উত্তরায় সিনিয়র এক নেতার বাসায় বৈঠক হয়। কিন্তু সাদী’র শর্তছিল আগে বহিষ্কৃত নেতাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, তারপরে নির্বাচনে একযোগে কাজ করা হবে। কিন্তু তার ওই কথা বাস্তবে রূপ পায়নি। কিন্তু এস এম জাহাঙ্গীর সবাইকেই নির্বাচনের মাঠে নামানোর পক্ষে ছিলেন। তিনি কফিলসহ অনেকের বাসায় গিয়েছেন।

আরো পড়ুন :  ফখরুল কী করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানলেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

স্থানীয় নেতারা জানান, ভোটের দিন স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কিভাবে দায়িত্বপালন করবে সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো নির্দেশনাই ছিল না। এটা কোনো নির্বাচন হলো? আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি থাকলেও ওই কমিটির কেউই তাদের সাথে আগ্রহভরে কথা বলেননি।

স্থানীয় এক নেতা জানান, দেখেন গত ২৪ অক্টোবর থেকে এখানে গণসংযোগ হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি শুধুমাত্র দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেখানোর জন্য সেক্টরের মধ্যে বড় বড় মিছিল করেছে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। অথচ, স্থানীয় নেতাকর্মীদের গণসংযোগে আনতে তেমন কোনো উদ্যোগই ছিল না। প্রতিটি মিছিল যদি খুঁজে খুঁজে দেখা যায় দেখবেন স্থানীয় পর্যায়ের কয়জন নেতাকর্মী ছিল। ভোটের দিনও একই অবস্থা ছিল।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৭
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫৫
  • ১১:৫৮
  • ৪:৩২
  • ৬:৩৭
  • ৮:০০
  • ৫:১৬