DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ১৯শে মে ২০২৪
ঢাকারবিবার ১৯শে মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান, রেল কর্মচারীরা বিপাকে

News Editor
অক্টোবর ১৬, ২০২০ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য দুদিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ থাকা কয়েকটি বাসা এর মধ্যে রেলের নোটিশ না দিয়ে ভেঙে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বরাত জানা গেছে যে, লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণসহ আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

স্থানীয় রেলওয়ের কর্মচারী মো. জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, তিনি রেলের যে কোয়ার্টারে থাকেন সেটির চলতি মাসের ভাড়াও পরিশোধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু  বৃহস্পতিবার হুট করে এসেই তার নামে বরাদ্দ থাকা বাসা ভাঙতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মালামাল সরানোর জন্য সময় চাইলেও সেটি দিতে তারা রাজি হয়নি। এ অবস্থায় তার মতো আরো অনেকেই চরম বিপাকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

রেলের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত আরেক কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ দাস জানান, ‘’ আমরা বৈধভাবে কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছি। আমরা জানতাম আপাতত অবৈধভাবে বসবাসরতদের বাসা ভাঙা হবে। যাদের নামে বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়ার পর কোয়ার্টার ভাঙা হবে। কিন্তু সেটা না করে হুট করে বাসা ভেঙে দিল তারা।‘’

উল্লেখ্য, গত বুধবার রেলস্টেশনের উত্তর দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এবং গত বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ ১৭টি কোয়ার্টার ও রেলের জায়গায় থাকা অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহাকরী প্রকৌশলী (কার্য্য) মো. আশিকুর রহমান জানান , ‘’রেলওয়ের বাসাগুলো আমাদের অধীনে হলেও আসলে অভিযানের কাজটি করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার সাথে আগে কথা বলেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলেছে যে যাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে তাদের ইতোমধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছিলো। অন্যদের বাসা তাৎক্ষণিকভাবে বরাদ্দ বাতিল করে মালামাল সরানোর সময় দেয়া হয়েছিলো।‘’

যাদের নামে এখনও বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

আরো পড়ুন :  ২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

অভিযানের আওতায় থাকা রেলওয়ের পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশিক মাহমুদুল হক জানান, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তদের সরে যাওয়ার জন্য পূর্বে একাধিক চিঠি দেয়া হয়। নোটিশ পাঠানো হয় ।কিন্তু অনেকেই এখনো সরেননি। আইন মেনে বরাদ্দ থাকা অবস্থায় কোনো কোয়ার্টার ভাঙা হয়নি বলে জোর দাবি করেন তিনি।

 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৭
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫৫
  • ১১:৫৮
  • ৪:৩২
  • ৬:৩৭
  • ৮:০০
  • ৫:১৬