রংপুরে ভূয়া র্যাব আটক
রিয়াজুল হক সাগর/রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর অফিসে র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভূয়া র্যাব সদস্য মোঃ আবু সাঈদ (৩৫) ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-১৩, রংপুর।
এসময় ভূয়া র্যাব পরিচয়পত্র, র্যাব জ্যাকেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত নানাবিধ সামগ্রী উদ্ধার করেছে।র্যাব ১৩ অধিনায়কের পক্ষে এইচ এম ওমর ফারুক মেজর উপ-পরিচালক এক প্রেস বার্তায় জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশে নাশকতাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে কাউনিয়া উপজেলার ৫নং কাউনিয়া বালাপারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান র্যাব-১৩ কে এই মর্মে জানান যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে পরিচয় দিয়ে ২ জন লোক কিছুদিন ধরে তার এবং বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে যাচ্ছে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর বুধবার (৪জানুয়ারী) রাত ১০ টায় রংপুর জেলার কাউনিয়া থানাধীন বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর অফিস কক্ষ হতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভূয়া র্যাব সদস্য মোঃ আবু সাঈদ (৩৫), পিতা-মোঃ বাবুল মিয়া, সাং-সুন্দ্রাহবি, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট এবং তার সহযোগী সাজেদুল ইসলাম সৌরভ (৩২), পিতা-মোঃ আব্দুল হালিম মু্িন্স, সাং-ইসলামপুর হুনুমানতলা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-রংপুর’কে ভূয়া র্যাব পরিচয়পত্র, র্যাব জ্যাকেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত নানাবিধ সামগ্রীসহ গ্রেফতার করে।র্যাব জানায়, মোঃ আবু সাঈদ (৩৫), পিতা-মোঃ বাবুল মিয়া, সাং-সুন্দ্রাহবি, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট পুলিশ বাহিনীতে রংপুর জেলায় কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত ছিলেন।চাঁদা আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরেই তিনি পুলিশ বাহিনী হতে চাকুরীচ্যুত হন। এছাড়াও চাকুরীচ্যুত হওয়ার পূর্বে তিনি র্যাব-১০ এর সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়।চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি ভূয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার এবং ভূয়া র্যাব সদস্যের পরিচয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন।
তিনি ও তার সহযোগী সর্বশেষ গত ৩ জানুয়ারি জেলার কাউনিয়া থানাধীন ৫নং কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আনছার আলী (৫৪), মোঃ আমিরুল ইসলাম (৩৯) এবং মোঃ আমিরুল ইসলাম (৪৯) এর নিকট থেকে চাঁদা আদায় করেছেন বলে জানায়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ১নং আসামী মোঃ আবু সাঈদ (৩৫) স্বীকার করেন যে, চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি এ ধরণের কার্যকালাপের সাথে জড়িত এবং চাঁদা আদায়ের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তিনি পুলিশ বাহিনী হতে চাকুরিচ্যুত হন। বর্তমানে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদের রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।