অনলাইন ডেস্ক:করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে থানা চত্বরেই প্যান্ডেল টাঙিয়ে ‘ঈদ-প্রীতিভোজের’ আয়োজন করেছেন ওসি। এ প্রীতিভোজে অংশ নিয়েছেন ওই উপজেলার দেড় শতাধিক রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও সুশীল ব্যক্তিত্ব।
বরগুনার তালতলী থানায় এ ঘটনা ঘটে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জনসমাগমের আয়োজন করায় উপজেলা জুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন ওসি কামরুজ্জামান মিয়া।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘ঈদ-প্রীতিভোজে’ দেড় শতাধিক লোক অংশ নিলেও সেখানে ছিল না হ্যান্ডরাব বা হেক্সিসল। অনেকেই মাস্ক পরেননি, মানেননি স্বাস্থ্যবিধি! এতে তালতলীর সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে- পুলিশের দায়িত্ব নাগরিকদের সচেতন করা। এখানে পুলিশই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করছে, তাহলে জনগণকে সচেতন করবে কে?
বরগুনার তালতলী থানা চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে ঈদ-প্রীতিভোজ
বরগুনার তালতলী থানা চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে ঈদ-প্রীতিভো
তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য উপজেলা চেয়াারম্যানসহ ছয়টি ইউনিয়নের চেয়াারম্যান, শিক্ষক, ব্যবসায়ীরা ছিলেন। থানার প্রীতিভোজে আমাকেও দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় আমি যাইনি।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকজন চেয়ারম্যান ছাড়া বাইরের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের সামাজিক আয়োজনের ওপর সরকারের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তালতলী থানার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রীতিভোজ আয়োজন করা ঠিক হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।