সোহরাব হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
জলাবদ্ধতার শেষ নেই, যতই দিন যাচ্ছে ততোই সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বত্র পানি আর পানি পৌরসভার বাসিন্দাদের জীবনযাপন যেমন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে অনুরুপভাবে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারনে অস্বাস্থ্যকর, দুর্গন্ধময় পরিবেশের বিস্তার ঘটছে। দুইমাস যাবৎ শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি।
গত কয়েকদিনের বিরামহীন এবং থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারনে শহরের জলাবদ্ধতার ক্ষেত্র যেমন বিস্তার হয়েছে অনুরুপ ভাবে স্থায়িত্ব পাচ্ছে। ইতিপূর্বে শহরের কামালনগর, মধুমল্লার ডাঙ্গি, ইটাগাছা, মেহেদীবাগ, তালতলা,মাছখোলা,কলোনি সহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতা বর্তমান সময়ে বলতে গেলে প্রায় পুরো শহর জলাবদ্ধতার কবলে। পৌরসভার অভ্যন্তরে সংযোগ সড়ক গুলোতে পানি জমে থাকা নতুন নয়, দীর্ঘ দিনের দৃশ্য, সড়ক গুলোতে পানি জমে থাকায় বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে যা দূর্ঘটনার কারন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
পৌরসভার অভ্যন্তরের সড়ক, আবাসিক এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার কিন্তু কেন? অনুসন্ধানে জানাগেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার আওতাধীন কোন কোন ড্রেন এবং পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা এক শ্রেনীর ভূমি দস্যুদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ, আবার যথাযথ ভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উপস্থিতি নেই। দেখা গেছে প্রয়োজনের তুলনায় ড্রেন কম। অপরিকল্পিত ভাবে বসতবাড়ী নির্মান ও জলাবদ্ধতার অন্যতম কারন।
শহরে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার কারনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের উৎপত্তি ঘটেছে।বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবানু, মশার বংশ বিস্তার শুরু হয়েছে। দেশে বর্তমান সময়ে করোনা চলছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় মহামারী করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিত্যান্ত কম নয়। বিধায় মশার উৎপত্তি যেন রোধ করা যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, বসতঘরে পানি, আঙ্গিনায় পানি, রান্নাঘরে পানি সড়কে পানি সর্বত্র পানি আর পানি।গরীব অসহায় মানুষ নিজের আহার জোগাড় করার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করছে কিন্তু সব পথ বন্ধ।
কারণ ব্যবসায়ী মহলে ক্রয়-বিক্রয় নেই কৃষকের ক্ষেতে পানি জমে থাকায় ধান চাষ বন্ধ সুতরাং কৃষিকাজ নেই আছে সমিতির কিস্তি জ্বালা। গরীব অসহায় মানুষের মাঝে আছে শুধু ছোটাছুটির জ্বালা কোথায় পাবে টাকা কোথায় পাবে আহার। এসবের মুল জলাবদ্ধতা।