ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কপোতাক্ষ নদের উভয় পাশে ২০ হাজার চারা গাছ রোপন

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৫৪ বার পড়া হয়েছে

কপোতাক্ষ নদের উভয় পাশে ২০ হাজার চারা গাছ রোপন

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

ঝিকরগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের উভয় পাশে ছুটিপুর ব্রীজ হতে জামালপুর পর্যন্ত ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাঁধে বিভিন্ন প্রজাতির ২০ হাজার চারা গাছ রোপন করে ২০ কিলোমিটার (সিডলিং) বাঁধ বাগান সৃজন করা হয়েছে।

বাগানটি যশোরের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক, ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা ও ফরেস্টসহ অন্যান্যরা বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়ে সময়ে বাগান প্রদর্শন করে সংরক্ষন ব্যবস্থা আরও জোরদার রেখেছেন।

উপজেলার কপোতাক্ষ নদের উভয় পার্শ্বে সদ্য খননকৃত নদের পাড়ে সৃজিত বাগানটি এলাকায় দৃষ্টি নন্দন অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর ও উন্নত করেছে।

সামাজিক সন বিভাগ যশোর জানান, সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে এ বাগান সৃজন করা হয়েছে। বাগানটিতে মোট উপকার ভোগীর সংখ্যা ১০১ জন। তারমধ্যে ৬৫ জন পুরুষ ও ৩৬ জন মহিলা রয়েছে।

বাগানটিতে প্রায় ১৮ প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়েছে। এ বাগানে চিক রাশি, খয়ের, জারুল, অর্জুন, বাবলা, জাম, শিমুল, শিশু, মেহগনি, ইপিল ইপিল, নিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে।

১০ বছর পর বাগানের আবর্তনকাল উত্তীর্ণ হলে, বাগানের গাছ বিক্রয় পূর্বক বিক্রয়লব্ধ অর্থে ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া ভূমি মালিক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে তাদের লভ্যাংশ পাবেন। বাগারটির উপকার ভোগীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রোপিত গাছের সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার রেখেছেন। বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালির কলরবে বাগানটি পরিপূর্ণ।

বাগানের গাছগুলো বড় হলে ভূমিক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করবে। দরিদ্র মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বিতার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবাযু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শার্শার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএফএনটিসি জানান, ঝিকরগাছা উপজেলায় বন বিভাগের এ ধরণের বনায়ন কর্মসুচি বছরেও টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অর্থায়নে ৪০ সিডলিং কিলোমিটারে চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে নার্সারীতে চারা উত্তোরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ট্যাগস :

কপোতাক্ষ নদের উভয় পাশে ২০ হাজার চারা গাছ রোপন

আপডেট সময় : ১১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

কপোতাক্ষ নদের উভয় পাশে ২০ হাজার চারা গাছ রোপন

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

ঝিকরগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের উভয় পাশে ছুটিপুর ব্রীজ হতে জামালপুর পর্যন্ত ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাঁধে বিভিন্ন প্রজাতির ২০ হাজার চারা গাছ রোপন করে ২০ কিলোমিটার (সিডলিং) বাঁধ বাগান সৃজন করা হয়েছে।

বাগানটি যশোরের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক, ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা ও ফরেস্টসহ অন্যান্যরা বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়ে সময়ে বাগান প্রদর্শন করে সংরক্ষন ব্যবস্থা আরও জোরদার রেখেছেন।

উপজেলার কপোতাক্ষ নদের উভয় পার্শ্বে সদ্য খননকৃত নদের পাড়ে সৃজিত বাগানটি এলাকায় দৃষ্টি নন্দন অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর ও উন্নত করেছে।

সামাজিক সন বিভাগ যশোর জানান, সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে এ বাগান সৃজন করা হয়েছে। বাগানটিতে মোট উপকার ভোগীর সংখ্যা ১০১ জন। তারমধ্যে ৬৫ জন পুরুষ ও ৩৬ জন মহিলা রয়েছে।

বাগানটিতে প্রায় ১৮ প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়েছে। এ বাগানে চিক রাশি, খয়ের, জারুল, অর্জুন, বাবলা, জাম, শিমুল, শিশু, মেহগনি, ইপিল ইপিল, নিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে।

১০ বছর পর বাগানের আবর্তনকাল উত্তীর্ণ হলে, বাগানের গাছ বিক্রয় পূর্বক বিক্রয়লব্ধ অর্থে ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া ভূমি মালিক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে তাদের লভ্যাংশ পাবেন। বাগারটির উপকার ভোগীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রোপিত গাছের সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার রেখেছেন। বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালির কলরবে বাগানটি পরিপূর্ণ।

বাগানের গাছগুলো বড় হলে ভূমিক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করবে। দরিদ্র মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বিতার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবাযু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শার্শার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএফএনটিসি জানান, ঝিকরগাছা উপজেলায় বন বিভাগের এ ধরণের বনায়ন কর্মসুচি বছরেও টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অর্থায়নে ৪০ সিডলিং কিলোমিটারে চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে নার্সারীতে চারা উত্তোরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।