দাবি আদায় না হলে রাজপথ ছাড়বে না ইবতেদায়ী শিক্ষকরা
রায়হান জামানঃ
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। সড়কে অবস্থান নিয়ে প্লাকার্ড হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
আজ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ টিএসসি সংলগ্ন মধ্যবর্তী সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা এই ঘোষণা দেন।
আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ১৯৮৪ সালে ৭৮ অর্ডিনেন্স ১৭ এর ২ ধারা মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। তখন থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবি কর্তৃক পাঠ্য পুস্তক শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করানো হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের যোগ্যতা সমমান।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে ৫০০ টাকা ভাতা প্রাপ্ত হন। সে সময় থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। সমমানের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ১ হাজার ৫১৯টি শুধু মাত্র ৫শ টাকা অনুদানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি মাদ্রাসাগুলো অনুদান থেকেও বঞ্চিত করা হয়। বর্তমানে ১ হাজার ৫১৯টি অনুদান ভুক্ত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষক ৩ হাজার ৩০০ টাকা অনুদান পায়।
তিনি বলেন, ৪০ বছর অনুদানভুক্ত ও অনুদান বিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচী চলমান থাকবে।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণাও দেন তারা। এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ জলকামান প দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এতে অনেকেই আহত হয়েছে।
এই হামলার প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণধিকার পরিষদ, বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।