নওগাঁয় হাড়কাঁপানো শীত সাথে ঘনকুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
মোঃ এ কে নোমান/নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট। গত দুই-তিনদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ কিছুটা কম।
আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সদরের আর্জি নওগাঁ (মধ্যপাড়া) এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, গত দুইদিন কুয়াশা কম ছিল। আজকে আবারও অধিক পরিমাণ কুয়াশা নামছে যে, কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। একারণে খুব ঠান্ডা অনুভব করছি।
স্থানীয় এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী অপূর্ব বসাকের সঙ্গে কথা বললে সে বলেন, আজকে প্রচণ্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশার কারণে সকালে পাঠশালায় যাওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে । গরম কাপড় অধিক পরিমাণের পরিধান করেও শীত নিবারণে ব্যার্থ হচ্ছি। শুধু তাই নয় ক্লাসরুমেও ক্লাস করা অনেক কষ্টদায়ক। অনেক সময় কিছুটা জ্বর-সর্দির শিকার হচ্ছি ।
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে ঘন্টায় ৯-১০ কি.মি প্রতি ঘন্টায় হাওয়া বইছে। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই বা একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।