ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস

‘নব্য পাকিস্তান’ করাই ছিল জেল হত্যার মূল লক্ষ্য: আমু

News Editor
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৫২ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়- কোনও ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়, বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার ‘নব্য পাকিস্তানে’ রূপান্তর করাই ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।’ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে জাতীয় চার নেতার সাথে একই কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা এক ভিডিওবার্তাায় স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু জানান, ‘ওইদিন রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনতে পাই। পরবর্তীতে ২০ মিনিট পর আবারও ব্রাশ ফায়ার। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কাতরানোর শব্দ শুনে জাতীয় সকল নেতার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘাতকরা আবারও ব্রাশ ফায়ার করে এবং বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। জেলের ভেতরে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড বিরল ঘটনা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চারনেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেই অবদান কোনোদিন ভোলার নয়।’

নির্বাচন কমিশন কোনো কথাই শোনে না : মির্জা ফখরুল

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার সমালোচনা করেন আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তার আসল চেহারা উম্মোচন করে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় জিয়াউর রহমান।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে যারা নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল সেই শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে আবার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বেই সকল সংকট উত্তরণ করে উন্নয়ন আর অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

ভিডিও বার্তায় তিনি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

‘নব্য পাকিস্তান’ করাই ছিল জেল হত্যার মূল লক্ষ্য: আমু

আপডেট সময় : ০১:১৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়- কোনও ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়, বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার ‘নব্য পাকিস্তানে’ রূপান্তর করাই ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।’ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে জাতীয় চার নেতার সাথে একই কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা এক ভিডিওবার্তাায় স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু জানান, ‘ওইদিন রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনতে পাই। পরবর্তীতে ২০ মিনিট পর আবারও ব্রাশ ফায়ার। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কাতরানোর শব্দ শুনে জাতীয় সকল নেতার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘাতকরা আবারও ব্রাশ ফায়ার করে এবং বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। জেলের ভেতরে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড বিরল ঘটনা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চারনেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেই অবদান কোনোদিন ভোলার নয়।’

নির্বাচন কমিশন কোনো কথাই শোনে না : মির্জা ফখরুল

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার সমালোচনা করেন আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তার আসল চেহারা উম্মোচন করে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় জিয়াউর রহমান।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে যারা নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল সেই শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে আবার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বেই সকল সংকট উত্তরণ করে উন্নয়ন আর অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

ভিডিও বার্তায় তিনি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।