সাভারে চাঞ্চল্যকর নীলা রায় নামে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্য পলাতক মিজানুরের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) মিজানুর রহমানের সহযোগী সেলিম পালোয়ান (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাব-৪ সিপিসি-২ শাখার কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর থানার চারিগ্রাম এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার আব্দুর রহমান সাভারের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত হাজী আইয়ুব আলীর ছেলে ও আটক নাজমুন নাহার সিদ্দিকা আটক আব্দুর রহমানের স্ত্রী। আটককৃতরা এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজানুরের বাবা-মা। তারা সাভারের ৪নং ওয়ার্ডের জনৈক শাহ সাইদুল আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
আফগানিস্তানে তালেবানের হামলায় ২৮ পুলিশ সদস্য নিহত
র্যাব জানায়, সাভারে চাঞ্চল্যকর নীলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা নারায়ণ রায় মিজানুর রহমান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এরপর থেকে পলাতক ছিলেন আসামিরা। সবশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিজানের বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ শাখার কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন জানান, নীলা হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মিজানুরের সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মাও পলাতক ছিলেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সাভার মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ তার নিজ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নীলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।