পর্যবেক্ষকের নীতীমালা চুড়ান্ত করেছে ইসি
আস্থা ডেস্কঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য সংশোধিত নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে, পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে বিদেশি পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যমকর্মীর কার্ড বাতিল হতে পারবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক/গণমাধ্যমকর্মীকে ভোটকেন্দ্র/পুরো আসন থেকে বহিষ্কার করতে পারবে।
ইসির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদনপত্র বাছাইয়ের পর অনাপত্তিপত্রের জন্য ইসি তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠাবে, যার অনুলিপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি ৭ দিনের মধ্যে সরাসরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইসিতে পাঠাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তি মিললে ইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক কার্ড পাঠাবে।
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী বিদেশি গণমাধ্যমকেও পর্যবেক্ষকদের সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ‘জে’ ক্যাটাগরি পর্যবেক্ষকেরা ‘টি’ ক্যাটাগরির ভিসা দেওয়া হবে।
সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নির্বাচনী কাজ, সুশাসন, গণতন্ত্র, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার-সম্পর্কিত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। নির্বাচনী অপরাধ কিংবা জাল-জালিয়াতি বা অসততাজনিত কোনো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কেউ পর্যবেক্ষক হওয়ার অযোগ্য হবেন। পর্যবেক্ষকদের অভিজ্ঞতার সনদসহ সিভি, পাসপোর্টের কপি, ইসি-নির্ধারিত ঘোষণাপত্র, কভার লেটারসহ আবেদনপত্র এবং দোভাষী নিলে তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে।
পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব হবে ভোটের দিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী প্রতিবেদন ই-মেইল বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া; নির্বাচনী অনিয়মের ওপর প্রতিবেদন, পক্ষপাতহীন, ফলপ্রসূ ও সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন পর্যবেক্ষণ হতে হবে।