আর এম রিফাত, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের প্রশাসনের সমর্থকদের উপর হুমকি ধামকি ও মারধর শুরু করেছে একটি পক্ষ।
বুধবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপাচার্য দপ্তরের শাখা কর্মকর্তা খাবিরুল ইসলাম ও ফরেন সেলের দিন হাজিরা কর্মচারী মঞ্জুরুল ইসলামকে কয়েকজন বহিরাগত মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় ঘটনা স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিরোধী কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিতি ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী খাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘রেজিস্ট্রার স্যার আমাকে ফোন করে অফিসে ডাকেন। আমি ডরমেটরির সামনে আসলে ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী বসন্তপুর গ্রামের আবু সাইদ ও অপরিচিত একজন এসে আচমকা আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারা আমার ভগ্নিপতি উপ-রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলামের কাছে টাকা পায় বলে দাবি করে। তখন সেখানে সহকারী রেজিস্ট্রার সেলিম, শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুল হক, আরিফুল ইসলাম আরিফসহ বিভিন্ন অফিসের কয়েকজন উপস্থিত ছিলো। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা বলে আমার মনে হচ্ছে।’
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে মারধরের শিকার হয়েছে ফরেন সেলের দিন হাজিরা কর্মরত মঞ্জুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রসায়ন বিভাগে আমি একটা কাজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুজন বহিরাগত এসে আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। এসময় তারা চাকু দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আর আমাকে ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করে।’
আরও পড়ুনঃ ইবি’র ১৩তম উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সালাম
এঘটনায় ভুক্তভোগী দুইজন নিরাপত্তা চেয়ে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বেলা দুইটার দিকে অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদুজ্জামানকে শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন গালিগালাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনিও প্রক্টরের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
ক্যাম্পাসে নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, ‘আমাকে দুইজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আর রাশিদুজ্জামান মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন। হঠাৎ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল হয়ে যাচ্ছে। বিষয় গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’