ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মৃত’ কিশোরী ফিরে আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৪৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জে ‘মৃত’ কিশোরী জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে তদন্ত করে চৌঠা নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়েছেন এই মামলায় স্বীকারোক্তি দেয়া তিন আসামি।

গত ৪ জুলাই নারয়ণগঞ্জ দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবার করার মালায় গ্রেফতার করা হয় একই এলাকার রাকিব, আব্দুল্লাহ, খলিলকে। দুই দফা রিমান্ড শেষে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।

এর দেড় মাস পর ফিরে আসে কথিত মৃত কিশোরীটি। মেয়েটি জানায়,একই এলাকার ইব্রাহীমের সাথে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার করছিলেন তারা। ‘মৃত’ কিশোরীর ফিরে আসার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠে তাহলে আসামিরা হত্যা ও ধর্ষণের দায় কেনো স্বিকার করলো ? আসামি পরিবারের অভিযোগ, ঘুষের টাকা না দেয়ায় নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়।

বিষয়টি গড়ায় উচ্চ আদালতে। মামলার যাবতীয় নথিপত্রসহ তলব করা হয় অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তাকেও। বৃহস্পতিবার পুরো ঘটনাটি তদন্তে নারায়নগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণগঞ্জ বিষয়টি তদন্ত করবেন। তদন্ত করার সময় তিনি এফআইআর, জবানবন্দি, ভিক্টিম, আসামি, আইনজীবী সবার সাথে কথা বলবেন। সবার জবানবন্দি নিয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন। এই প্রস্তুতকৃত তদন্ত রিপোর্ট ৪ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে সাবমিট করবেন এবং ৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ৪ নভেম্বর বিচারবিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। যদিও এরইমধ্যে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আল মামুনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর গত মাসের শেষের দিকে জামিনে বের হয়েছেন কারাগারে থাকা তিন আসামি।

ট্যাগস :

‘মৃত’ কিশোরী ফিরে আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময় : ১১:২৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

নারায়ণগঞ্জে ‘মৃত’ কিশোরী জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে তদন্ত করে চৌঠা নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়েছেন এই মামলায় স্বীকারোক্তি দেয়া তিন আসামি।

গত ৪ জুলাই নারয়ণগঞ্জ দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবার করার মালায় গ্রেফতার করা হয় একই এলাকার রাকিব, আব্দুল্লাহ, খলিলকে। দুই দফা রিমান্ড শেষে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।

এর দেড় মাস পর ফিরে আসে কথিত মৃত কিশোরীটি। মেয়েটি জানায়,একই এলাকার ইব্রাহীমের সাথে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার করছিলেন তারা। ‘মৃত’ কিশোরীর ফিরে আসার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠে তাহলে আসামিরা হত্যা ও ধর্ষণের দায় কেনো স্বিকার করলো ? আসামি পরিবারের অভিযোগ, ঘুষের টাকা না দেয়ায় নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়।

বিষয়টি গড়ায় উচ্চ আদালতে। মামলার যাবতীয় নথিপত্রসহ তলব করা হয় অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তাকেও। বৃহস্পতিবার পুরো ঘটনাটি তদন্তে নারায়নগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণগঞ্জ বিষয়টি তদন্ত করবেন। তদন্ত করার সময় তিনি এফআইআর, জবানবন্দি, ভিক্টিম, আসামি, আইনজীবী সবার সাথে কথা বলবেন। সবার জবানবন্দি নিয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন। এই প্রস্তুতকৃত তদন্ত রিপোর্ট ৪ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে সাবমিট করবেন এবং ৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ৪ নভেম্বর বিচারবিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। যদিও এরইমধ্যে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আল মামুনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর গত মাসের শেষের দিকে জামিনে বের হয়েছেন কারাগারে থাকা তিন আসামি।