শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পাঁচ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জয়া
বিনোদন ডেস্কঃ
বহু আগেই বাংলাদেশে গণ্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলায় তুমুল দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন জয়া আহসান। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি সমানতালে কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সাফল্য যেনো তারজন্য অবধারিত। একর পর এক সিনেমায় কাজ করে যেমন সাফল্য পাচ্ছেন, তেমনি দর্শকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তার হাতে উঠছে একর পর এক সম্মাননা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার/২২ ঘোষণা করা হয়েছে। “বিউটি সার্কাস” সিনেমার জন্য পঞ্চমবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
“গেরিলা“
গেরিলা ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত। সৈয়দ শামসুল হকের “নিষিদ্ধ লোবান” উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি৷ যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও এবাদুর রহমান। ২০১১ সালে গেরিলা সিনেমা দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন জয়া আহসান।
“চোরাবালি“
গেরিলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করেন। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত “চোরাবালি”তে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। “গেরিলা” দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
“জিরো ডিগ্রি“
“জিরো ডিগ্রী” অনিমেষ আইচ পরিচালিত ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। “জিরো ডিগ্রি” দিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন জয়া আহসান। প্লে হাউস প্রোডাকশনস্-এর ব্যানারে জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা ও পরিচালক মাহফুজ আহমেদ “জিরো ডিগ্রী”র প্রযোজনা করেছেন।
“দেবী“
“দেবী” মিসির আলি প্রথমবার ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী রহস্যধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত “মিসির আলি” ধারাবাহিকের একই নামের প্রথম উপন্যাস থেকে। সরকারী অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন অনম বিশ্বাস। দেবী দিয়ে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন জয়া আহসান।
“বিউটি সার্কাস”
“বিউটি সার্কাস”কে কেন্দ্র করে এক নারীর টিকে থাকার গল্প “বিউটি সার্কাস”। সার্কাস পুড়িয়ে দেয়ার পর হুমকির মুখে পড়ে এক নারী। কিন্তু সে আপন শক্তিতে টিকে থাকে। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমা দিয়ে জয়া আহসানের হাতে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উঠে।