ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

সিলেটে ভাড়ার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাকে খুন করল সিএনজি চালকরা

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০৪৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি:

সিলেটে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বন্দরবাজারের কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় মওদুদের। এক পর্যায়ে নোমানসহ আরও কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন।

এ সময় মওদুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান মওদুদ আহমেদ।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন বন্দরবাজার ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ততক্ষণে নোমান হাছনুসহ অন্য ঘাতকেরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছে সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। রোববার নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে ঘাতক সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ যুগান্তরকে জানান, প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া পরিবেশ তৈরি করেছিলো। পরে আমরা খোঁজাখুঁজি আসল ঘটনা বের করলাম। কিন্তু জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজনকে শনাক্ত করেছি আমরা। অচিরেই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

ট্যাগস :

সিলেটে ভাড়ার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাকে খুন করল সিএনজি চালকরা

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি:

সিলেটে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বন্দরবাজারের কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় মওদুদের। এক পর্যায়ে নোমানসহ আরও কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন।

এ সময় মওদুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান মওদুদ আহমেদ।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন বন্দরবাজার ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ততক্ষণে নোমান হাছনুসহ অন্য ঘাতকেরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছে সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। রোববার নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে ঘাতক সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ যুগান্তরকে জানান, প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া পরিবেশ তৈরি করেছিলো। পরে আমরা খোঁজাখুঁজি আসল ঘটনা বের করলাম। কিন্তু জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজনকে শনাক্ত করেছি আমরা। অচিরেই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।