ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ

১ লাখ ২০ হাজারের চেক হয়ে গেল ১১ লাখ ২০ হাজার!

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২৫০ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে চেক নকল করে আদালতে মামলা করল এক শ্রমিক। ১ লাখ ২০ হাজারের চেক হয়ে গেল ১১ লাখ ২০ হাজার!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

এক লাখ বিশ হাজার টাকার চেক জাল করে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম (২৪) নামে এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে। ব্যাংকে ১১ লাখ ২০হাজার টাকা না পেয়ে চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করে ওই শ্রমিক। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ঠাকুরগাঁও ভুল্লী থানার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী এলাকার মোতালেবের ছেলে। আর ভুক্তভোগী সদরের সালন্দর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সমারু বর্মণের মেয়ে স্কুল শিক্ষক মমতা রাণী। তবে গত ডিসেম্বরে চেকবই নিখোঁজে সদর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন মমতা রাণী।

জানা গেছে, মমতা রাণীর স্বামী কালিদাস চলতি বছরের ৬ জুন একই এলাকার বজলুর রশিদের ছেলে আল মামুমের কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। এ সময় কালিদাস তার স্ত্রীর অগ্রণী ব্যাংক মুন্সিহাট শাখা ঠাকুরগাঁও (হিসাব নাম্বার-০২০০০১২০০৪৯৯৪) এর পাতায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অঙ্কে লিখে একটি চেক দেয় তাকে। পরবর্তীতে মামুন তার আত্নীয় রবিউলকে চেকটি দেয়। পরে রবিউল জালিয়াতির মাধ্যমে চেকে ১ লাখ ২০ হাজারের স্থলে ১১ লাখ ২০ হাজার ও ৬ তারিখের স্থলে ১৬ তারিখ বসিয়ে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে যায়। ব্যাংকে ১১লাখ টাকা না থাকায় গত ৮ আগস্ট চেকটি ডিজঅনার করে।

কোন নোটিশ ছাড়াই গত ২৫ সেপ্টেম্বরে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে বাদী হয়ে মমতা রানীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা করেন রবিউল।

ভুক্তভোগী মমতা রাণী বলেন, গতবছরের নভেম্বরে অগ্রণী ব্যাংক মুন্সিহাট শাখা ঠাকুরগাঁও ০২০০০১২০০৪৯৯৪ হিসাব নাম্বারের একটি চেকবই হারিয়ে যায়। পরে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। একদিন আল মামুন বলল আমার স্বামী তার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছে।

পরবর্তীতে গত এপ্রিলে স্থানীয় এক পত্রিকা অফিসে কয়েকজনের উপস্থিতিতে ৭০ হাজার টাকা মামুনকে দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের আরো সময় চাই। এরইমধ্যে মামুনের ভাই জনি আমার স্কুলে এসে আমাকে একথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। তারা প্রায় আমাকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। একদিন মামুনের ভাই জনিসহ ১২জন আমার পথরোধ করে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তোলার চেস্টা করে। এ সময় আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে ভুল্লী থানায় একটি অভিযোগও করেছি আমি।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী পলাতক থাকায় তার সাথে কোন যোগাযোগ হয় না। আমার চেক আল মামুনকে দিয়েছে তাও আমি জানি না। বর্তমানে আমি শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছি। আমার নামে যে রবিউল মামলা করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট আমি তাকে চিনি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি বিজ্ঞ আদালতের কাছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আল মামুন জানান, মমতা রানীর স্বামী আমার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে কয়েক দফায় আমাকে টাকা দেয়। তবে তার স্বামী আমাকে কোন চেক দেয়নি। আমার সাথে স্ট্যাম্পে লেখাপড়া হয়।

আর রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মমতার কাছে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাই। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি।

এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দুলাল উদ্দীন জানান, চেক জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান। তা ছাড়া আমি নতুন। তবে শুনেছি মমতা রাণীকে একদল যুবক আটক করেছিলো। তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

ট্যাগস :

১ লাখ ২০ হাজারের চেক হয়ে গেল ১১ লাখ ২০ হাজার!

আপডেট সময় : ০২:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ে চেক নকল করে আদালতে মামলা করল এক শ্রমিক। ১ লাখ ২০ হাজারের চেক হয়ে গেল ১১ লাখ ২০ হাজার!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

এক লাখ বিশ হাজার টাকার চেক জাল করে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম (২৪) নামে এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে। ব্যাংকে ১১ লাখ ২০হাজার টাকা না পেয়ে চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করে ওই শ্রমিক। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ঠাকুরগাঁও ভুল্লী থানার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী এলাকার মোতালেবের ছেলে। আর ভুক্তভোগী সদরের সালন্দর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সমারু বর্মণের মেয়ে স্কুল শিক্ষক মমতা রাণী। তবে গত ডিসেম্বরে চেকবই নিখোঁজে সদর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন মমতা রাণী।

জানা গেছে, মমতা রাণীর স্বামী কালিদাস চলতি বছরের ৬ জুন একই এলাকার বজলুর রশিদের ছেলে আল মামুমের কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। এ সময় কালিদাস তার স্ত্রীর অগ্রণী ব্যাংক মুন্সিহাট শাখা ঠাকুরগাঁও (হিসাব নাম্বার-০২০০০১২০০৪৯৯৪) এর পাতায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অঙ্কে লিখে একটি চেক দেয় তাকে। পরবর্তীতে মামুন তার আত্নীয় রবিউলকে চেকটি দেয়। পরে রবিউল জালিয়াতির মাধ্যমে চেকে ১ লাখ ২০ হাজারের স্থলে ১১ লাখ ২০ হাজার ও ৬ তারিখের স্থলে ১৬ তারিখ বসিয়ে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে যায়। ব্যাংকে ১১লাখ টাকা না থাকায় গত ৮ আগস্ট চেকটি ডিজঅনার করে।

কোন নোটিশ ছাড়াই গত ২৫ সেপ্টেম্বরে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে বাদী হয়ে মমতা রানীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা করেন রবিউল।

ভুক্তভোগী মমতা রাণী বলেন, গতবছরের নভেম্বরে অগ্রণী ব্যাংক মুন্সিহাট শাখা ঠাকুরগাঁও ০২০০০১২০০৪৯৯৪ হিসাব নাম্বারের একটি চেকবই হারিয়ে যায়। পরে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। একদিন আল মামুন বলল আমার স্বামী তার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছে।

পরবর্তীতে গত এপ্রিলে স্থানীয় এক পত্রিকা অফিসে কয়েকজনের উপস্থিতিতে ৭০ হাজার টাকা মামুনকে দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের আরো সময় চাই। এরইমধ্যে মামুনের ভাই জনি আমার স্কুলে এসে আমাকে একথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। তারা প্রায় আমাকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। একদিন মামুনের ভাই জনিসহ ১২জন আমার পথরোধ করে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তোলার চেস্টা করে। এ সময় আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে ভুল্লী থানায় একটি অভিযোগও করেছি আমি।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী পলাতক থাকায় তার সাথে কোন যোগাযোগ হয় না। আমার চেক আল মামুনকে দিয়েছে তাও আমি জানি না। বর্তমানে আমি শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছি। আমার নামে যে রবিউল মামলা করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট আমি তাকে চিনি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি বিজ্ঞ আদালতের কাছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আল মামুন জানান, মমতা রানীর স্বামী আমার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে কয়েক দফায় আমাকে টাকা দেয়। তবে তার স্বামী আমাকে কোন চেক দেয়নি। আমার সাথে স্ট্যাম্পে লেখাপড়া হয়।

আর রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মমতার কাছে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাই। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি।

এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দুলাল উদ্দীন জানান, চেক জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান। তা ছাড়া আমি নতুন। তবে শুনেছি মমতা রাণীকে একদল যুবক আটক করেছিলো। তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।