DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২রা মে ২০২৪
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২রা মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ গায়ক এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন

Abdullah
নভেম্বর ৪, ২০২৩ ৩:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আজ গায়ক এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন

বিনোদন প্রতিনিধিঃ

আজ বাংলা গানের মহাজগৎ এর কিংবদন্তি গায়ক এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন। সুরেলা কণ্ঠে তিনি গেয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি গান। আর তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের সংখ্যাও অনেক বেশি। গানের ভুবন কিংবা মানুষের মনে কতটা বিস্তৃত এন্ড্রু কিশোর, সেটা পরিমাপ করাও অকল্পনীয়।

দেশের সবচেয়ে পরিচিত কণ্ঠস্বরটি তার। তার কণ্ঠ নিঃসৃত গান শোনেনি, বাংলাদেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। এক জীবনে তিনি যতগুলো শ্রোতাপ্রিয়, কালজয়ী গান গেয়েছেন, সেটা সত্যিই বিস্ময়কর। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তো তিনি একেবারে অদ্বিতীয়। এজন্য এন্ড্রু কিশোরকে বলা হয় বাংলাদেশের প্লেব্যাক সম্রাট।

আজ (৪ নভেম্বর) প্লেব্যাক সম্রাটের জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে বিশেষ মানুষটি নেই। তার অনুপস্থিতি জানান দিচ্ছে, বাংলা গানে অসামান্য এক শূন্যতা বিরাজ করছে। যেই শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। যে শূন্যতা পূরণ করা সম্ভবই নয়।

এন্ড্রু কিশোরের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর। তার সঙ্গীত চর্চার শুরু হয় আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে। অসামান্য প্রতিভা থাকায় তিনি অল্প সময়েই সঙ্গীত সংশ্লিষ্টদের নজর কাড়তে সক্ষম হন। সব ধরণের গানেই তার দক্ষতা ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, আধুনিক, লোক এবং দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভূক্ত শিল্পী ছিলেন।

চলচ্চিত্রের গানে এন্ড্রু কিশোরের অভিষেক হয় ১৯৭৭ সালের ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমা দিয়ে। এতে আলম খানের সুরে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ শীর্ষক একটি গান গেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর তিনি বাদল রহমান পরিচালিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ সিনেমায় ‘ধুম ধাড়াক্কা’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেন।

তবে এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয়তা আসে ১৯৭৯ সালে। সে বছর এ জে মিন্টু পরিচালিত ‘প্রতীজ্ঞা’ সিনেমায় তার কণ্ঠে ‘এক চোর যায় চলে’ গানটি শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বৃষ্টিধারার মতো গান করে গেছেন এন্ড্রু কিশোর।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙের ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে’, ‘তুমি বন্ধু আমার চিরসুখে থাকো’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ও সাথী রে যেও না কখনো দূরে’, ‘কী যাদু করেছো বলো না’, ‘প্রতিদিন ভোর হয়’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘এতো প্রেম ছিল’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’, ‘কারে দেখাবো মনের দুঃখ’সহ আরও অসংখ্য গান।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এন্ড্রু কিশোর জিতেছেন বহু পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে আটবার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অন্যতম।

২০২০ সালের ৬ জুলাই এন্ড্রু কিশোর চলে গেছেন না ফেরার দেশে। যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করে হার মানেন গানের যাদুকর। বিদায় জানান দেশ, দেশের মানুষ আর সঙ্গীতকে। পৃথিবীর চিরায়ত নিয়মে এন্ড্রু কিশোর চলে গেছেন। কিন্তু এক জীবনে তিনি যা দিয়ে গেছেন, সেটা দেশের সঙ্গীতকে যেমন করেছে সমৃদ্ধ, তেমনি তাকে করেছে অমর।

চলে গিয়েও এন্ড্রু কিশোর থেকে যাবেন প্রতিটি বাঙালির মনে, কানে। তুমুল প্রেম, বুক ভাঙা বিরহ কিংবা দেশাত্মবোধের অনুভবে মানুষ ঠিকই খুঁজে নেবে এন্ড্রু কিশোরের গানগুলো। আর এভাবে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

ব্যক্তিগত জীবনে লিপিকা এন্ড্রু ইতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তানের নাম সংজ্ঞা আর দ্বিতীয়জনের নাম সপ্তক। গান গেয়ে তিনি আকাশছোঁয়া খ্যাতি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে জিতেছেন বহু পুরস্কারও। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

২০২০ সালের ৬ই জুলাই মারা যান কিংবদন্তি এই কণ্ঠশিল্পী।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪