ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেলেন সেনাপ্রধান Logo আইফোন ১৭ সিরিজের ডিজাইনার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবিদুর চৌধুরী Logo ওএসডির ছয় মাস পর পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ডা. সাইফুল ইসলাম! Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়ক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী Logo পানছড়িতে হেফাজত ইসলামের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত Logo শার্শায় ১২ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক Logo ফুলবাড়িয়ায় ৪৩ জনকে চোখের চিকিৎসা করালেন বিএনপি নেতা  Logo পদত্যাগের পর নেপালেই আছেন কেপি শর্মা ওলি Logo কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত! Logo ভারত ও চীনের ওপর শত ভাগ শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপকে ট্রাম্পের আহ্বান

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর এক ধাপ বিজয়

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১১০১ বার পড়া হয়েছে

সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে করোনা টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ২৬ জন এই টিকা নিয়েছেন। এই টিকাদানকে কেন্দ্র করে বিদেশে প্রচার হয়েছিল যারা টিকা দিচ্ছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছে। বাংলাদেশে এই প্রচারণার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। প্রচার দুই রকমের হতে পারে। একটি সতর্ক করার জন্য এবং অন্যটি কোন কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য। শেষেরটিকে বলা হয় অপপ্রচার। বাংলাদেশে বিষয়টি ছিল অপপ্রচার। সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব সময় সচেষ্ট। করোনার ভয়াবহতা থেকে এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। আর যাতে এর ভয়াবহতা বিস্তার না করতে পারে তার জন্য আমদানি করেছে টিকা। যেখানে এই টিকা নিলে মারা যেতে হবে এটা অপপ্রচারই। এই অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে টিকা গ্রহণকারীরাসবাই সুস্থ আছেন।

‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’ ওয়েবসাইটের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলো বাংলাদেশে। ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বহু প্রত্যাশার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে এই টিকাদান কার্যক্রমের শুরু হয়। পরে একে একে আরো ২৫ জনকে টিকা দেয়া হয়।

কুর্মিটোলাসহ আরে চারটি হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে ড্রাই রান বা পরীক্ষামূলক টিকা দেয়া হবে।
সারা দেশে শুরু হবে ৭ই ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করাকে ঐতিহাসিক বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা মনে করি সময়মতো এই ভ্যাকসিন আনতে পেরে সরকার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর এক দফা জয়লাভ করলো। এই টিকার মাধ্যমে করোনা থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হবে। সরকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে তার মধ্যে ৫০ লাখ এসে গেছে। এরপর থেকে বাকি টিকা আরো আসতে থাকবে। কাজেই এই ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না।

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার যেমন ছিল তেমনি ছিল কুসংস্কার। ‘আল্লাহর সাথে পাল্লা’ দিয়ে করোনা ঠেকানো যাবে না বলেও অনেকে মন্তব্য করেছিল। যারা এই কুসংস্কারে বিশ্বাসী তাদের বোঝা উচিত মহান আল্লাহ যেমন রোগ-ব্যাধি দিয়েছেন তেমনি তার চিকিৎসার জন্য দোয়া এবং দাওয়া (ওষুধ) দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিনদান উদ্বোধন করে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। এখানে আল্লাহর সাথে পাল্লা দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আর টিকা গ্রহণকারীরা সুস্থ থাকায় অপপ্রচারকারীদের মুখে চপেটাঘাত পড়েছে।

ট্যাগস :

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর এক ধাপ বিজয়

আপডেট সময় : ০৭:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে করোনা টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ২৬ জন এই টিকা নিয়েছেন। এই টিকাদানকে কেন্দ্র করে বিদেশে প্রচার হয়েছিল যারা টিকা দিচ্ছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছে। বাংলাদেশে এই প্রচারণার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। প্রচার দুই রকমের হতে পারে। একটি সতর্ক করার জন্য এবং অন্যটি কোন কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য। শেষেরটিকে বলা হয় অপপ্রচার। বাংলাদেশে বিষয়টি ছিল অপপ্রচার। সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব সময় সচেষ্ট। করোনার ভয়াবহতা থেকে এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। আর যাতে এর ভয়াবহতা বিস্তার না করতে পারে তার জন্য আমদানি করেছে টিকা। যেখানে এই টিকা নিলে মারা যেতে হবে এটা অপপ্রচারই। এই অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে টিকা গ্রহণকারীরাসবাই সুস্থ আছেন।

‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’ ওয়েবসাইটের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলো বাংলাদেশে। ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বহু প্রত্যাশার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে এই টিকাদান কার্যক্রমের শুরু হয়। পরে একে একে আরো ২৫ জনকে টিকা দেয়া হয়।

কুর্মিটোলাসহ আরে চারটি হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে ড্রাই রান বা পরীক্ষামূলক টিকা দেয়া হবে।
সারা দেশে শুরু হবে ৭ই ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করাকে ঐতিহাসিক বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা মনে করি সময়মতো এই ভ্যাকসিন আনতে পেরে সরকার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর এক দফা জয়লাভ করলো। এই টিকার মাধ্যমে করোনা থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হবে। সরকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে তার মধ্যে ৫০ লাখ এসে গেছে। এরপর থেকে বাকি টিকা আরো আসতে থাকবে। কাজেই এই ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না।

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার যেমন ছিল তেমনি ছিল কুসংস্কার। ‘আল্লাহর সাথে পাল্লা’ দিয়ে করোনা ঠেকানো যাবে না বলেও অনেকে মন্তব্য করেছিল। যারা এই কুসংস্কারে বিশ্বাসী তাদের বোঝা উচিত মহান আল্লাহ যেমন রোগ-ব্যাধি দিয়েছেন তেমনি তার চিকিৎসার জন্য দোয়া এবং দাওয়া (ওষুধ) দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিনদান উদ্বোধন করে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। এখানে আল্লাহর সাথে পাল্লা দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আর টিকা গ্রহণকারীরা সুস্থ থাকায় অপপ্রচারকারীদের মুখে চপেটাঘাত পড়েছে।