গভীর রাতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলো ইউএনও
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীর রাতের বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বর ও কন্যা দুজনই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। বর দশম শ্রেণীর ও কনে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলের বয়স ১৫ ও মেয়ের বয়সও ১৫ বছর পূর্ণ হতে বাকি। কিন্তু দুটি পরিবারের ইচ্ছেতে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। বুধবার রাত ১২টার দিকে গোপনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে উভয় পরিবারের গোপন প্রস্তুতির এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। প্রশাসনকে দেখে বিয়ের বাড়ির লোকজন হতবাক হয়ে উঠেন। কিংকর্তব্যবিম্বর হয়ে পড়েন।
অবশেষে কনেসহ দুটি পরিবারকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদেরকে শফত পড়ান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে এইমর্মে মুচলেকা গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয়! উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুটি কচি মুখের বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক। এ ঘটনাটি গোটা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক বলেন, বাল্য বিয়ে সমাজের জন্য একটি অভিশাভ বিধায় সরকার বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য সব সময় জনগণকে সচ্চারিত করে আসছেন। অথচ গোপনে গভীর রাতে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বর-কনে দুই পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্য বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার জন্য মুচলেকাও গ্রহণ করা হয়েছে।