নিজস্ব প্রতিবেদক: ১ বন্দুকের গুলিতে জোড়া খুনের দায়ে আদালত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই সহোদরকে মৃত্যুদন্ড’র রায় প্রদান করেছেন। একই মামলায় অপর ১৩ আসামীকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড’র রায় প্রদান করেছেন। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ৯ আসামী মৃত্যু বরন করেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ১৩ আসামীকে আদালত বেখসুর খালাস প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আবদুল হান্নান ওরফে যাত্রা মিয়া ও তারই সহোদর শামছুদ্দিন ওরফে শামছু মিয়া।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন-উপজেলার কামদেরপুর গ্রামের আবদুল মান্নান, ইনু মিয়া, রেনু মিয়া, হামদু মিয়া, আফজল মিয়া, জালাল উদ্দিন,আবদুল নূর, সবুজ মিয়া, বাবুল মিয়া, আলকাছ মিয়া, বাদল মিয়া, রহমত আলী ও মনু মিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম মামলার রায় প্রদানের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৮ মার্চ তাহিরপুর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের লোকজনের হাতে অন্য পক্ষের লোকজন হামলার শিকার হন। পরদিন ১৯ মার্চ সকালে ওই ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে যাবার পথে প্রতিপক্ষে i
ছোড়া বন্দুকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মৃত মফিউ উল্লাহ তালুকদারের ছেলে আরফান আলী ও মৃত মোজাফ্ফর তালুকদারের ছেলে মতিউর রহমান নিহত হন।
২০০০ সালের ১৯ মার্চ জোড়া খুনের ঘটনায় নিহতের আত্মীয় আতাউর রহমান থানায় ২৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৩১ মার্চ ওই মামলায় ৩৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী অফিসার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।,
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জহুর আলী ও অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন(৩) এবং আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন দোলন।
রায় প্রদানকালে দন্ডপ্রাপ্ত ও খালাসপ্রাপ্ত সকল আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।