নরসিংদীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীতে পারিবারিক কলোহের জেরে স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে কুপিয়ে জখমের পর ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী আক্তার হোসেন। আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে সদর পৌরসভার কাওরিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত মাহমুদাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরে পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। আক্তার হোসেন নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী দাশপাড়া গ্রামের মলিল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত আক্তার হোসেন গত এক বছর আগে মাহমুদা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই মাহমুদাকে নিয়ে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সম্প্রতি নিজ বাড়িতে যাওয়া ও আগের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সর্ম্পক রাখাসহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মাহমুদা বেগমের সাথে মনমালিন্য চলছিলো।
এরই ধারাবাকিতায় বুধবার দুপুরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মৃত আক্তার হোসেন তার মাহমুদাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপাতে থাকে। এতে মাহমুদার কানসহ মুখের একাংশ আলাদা হয়ে যায়। পরে মাহমুদা বেগম রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী মারা গেছে ভেবে আক্তার ঘরের ফ্যানের সাথে রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নরসিংদী সদর থানার উপ-পরিদর্শক শাহিন চৌধুরি বলেন, পারিবারিক কলোহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে আহত করে আক্তার হোসেন। পরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রী মাহমুদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করার কথা শুনেছি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করি।