অনলাইন ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজত নেতাকর্মীদের আসামি করে আরও তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাতে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার রাতে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ এনে তার বাবা শাহ জামাল তোতা একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৭ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। সোহাগ রনির বাবার দায়ের করা মামলায় হেফাজত ইসলামের কর্মী খালেদ সাইফুল্লাহ সাইফ, কাজি সমির, অহিদকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখা (ডিবি)।
শুক্রবার বিকেলে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে অহিদ তাবলীগ জামাতের সদস্য ও করোনায় কাজ করা এহসান পরিবারের সদস্য।
অপরদিকে, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১২০ জনের নামোল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে শুক্রবার মামলা দায়ের করেন। একই দিনে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সোনারগাঁ যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাছিরউদ্দিন বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১১০ জনের নামোল্লেখসহ আরও ৭০ থেকে ৮০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এর আগে মামুনুল কাণ্ডে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিককে মারধর ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনটি মামলায় ৮৩ জনের নামোল্লেখ ও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬ টি মামলা হয়েছে। এজহারভুক্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।