ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন চাপের মাঝেও সুখ খবর পেলো ভারত

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১১৬ বার পড়া হয়েছে

Two crossed national flags on wooden table

মার্কিন চাপের মাঝেও সুখ খবর পেলো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করছেন যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন, আলাস্কায় পুতিনকে নিয়ে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন করেছেন এবং এ বছরই কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য নতুন সামরিক শক্তির জোট গঠন করে বিশ্বকে শাসন করা। কিন্তু চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ভারত তা বুঝেই পেরে একত্রিত হচ্ছে। এই শক্তিগুলোর নেতৃত্বে যদি নতুন সামরিক শক্তির জোট গড়ে ওঠে, যেখানে এক যুদ্ধ আগ্রাসীও যুক্ত থাকে, তাহলে তা পশ্চিমা দুনিয়ার জন্য বড় সতর্ক সংকেত হয়ে উঠবে। আর মার্কিন চাপের মাঝেও সুখ খবর পেলো ভারত।

তেলে ভারতকে আরও বড় ছাড় দিচ্ছে রাশিয়া
ভারতের কাছে বিক্রি করা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আরও ৩ থেকে ৪ ডলার পর্যন্ত কমেছে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্কের বোঝা বহন করায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই বিশাল ছাড় দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষের দিকে এবং অক্টোবরে লোড হবে, রাশিয়ার ইউরাল গ্রেডের তেলের কার্গোর জন্য কম দামের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানির করায় ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের বড় আমদানিকারক হয়ে ওঠে ভারত। ওয়াশিংটনের বার বার সমালোচনার পরও মস্কো ও বেইজিংয়ের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভারত।

চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক রয়েছে। একই সঙ্গে এসসিও সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মোদি। বৈঠকের পর চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং অংশীদার হবে ভারত।

এদিকে, হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হামলার আগে ভারত কার্যত রাশিয়ান তেল কিনতই না। খুবই সামান্য পরিমাণে কিনতো। এখন কী হচ্ছে? রাশিয়ার তেল পরিশোধনকারীরা ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে। ভারত তা পরিশোধন করে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্র সচল থাকছে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার তেল নিষিদ্ধ করেনি। আগস্টের শুরুর দিকে স্বল্প সময়ের জন্য কেনা বন্ধ থাকলেও ভারতীয় পরিশোধনকারীরা রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া গত সপ্তাহে ব্যারেলপ্রতি ২.৫০ ডলার ছাড়ে দেওয়ায় রাশিয়ার সস্তা গ্রেডের ইউরালস কেনার বিষয়ে ভারতীয় পরিশোধনকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ জুলাই মাসে ওই গ্রেডের তেলে মাত্র ১ ডলার ছাড় দিয়েছিল মস্কো। এর বিপরীতে, মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৩ ডলার বাড়তি ছিল।

রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের প্রধান গ্রেড হলো ইউরাল। যা পশ্চিমা বিভিন্ন বন্দর থেকে রপ্তানি করা হয়।

ট্যাগস :

মার্কিন চাপের মাঝেও সুখ খবর পেলো ভারত

আপডেট সময় : ১১:২৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন চাপের মাঝেও সুখ খবর পেলো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করছেন যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন, আলাস্কায় পুতিনকে নিয়ে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন করেছেন এবং এ বছরই কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য নতুন সামরিক শক্তির জোট গঠন করে বিশ্বকে শাসন করা। কিন্তু চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ভারত তা বুঝেই পেরে একত্রিত হচ্ছে। এই শক্তিগুলোর নেতৃত্বে যদি নতুন সামরিক শক্তির জোট গড়ে ওঠে, যেখানে এক যুদ্ধ আগ্রাসীও যুক্ত থাকে, তাহলে তা পশ্চিমা দুনিয়ার জন্য বড় সতর্ক সংকেত হয়ে উঠবে। আর মার্কিন চাপের মাঝেও সুখ খবর পেলো ভারত।

তেলে ভারতকে আরও বড় ছাড় দিচ্ছে রাশিয়া
ভারতের কাছে বিক্রি করা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আরও ৩ থেকে ৪ ডলার পর্যন্ত কমেছে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্কের বোঝা বহন করায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই বিশাল ছাড় দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষের দিকে এবং অক্টোবরে লোড হবে, রাশিয়ার ইউরাল গ্রেডের তেলের কার্গোর জন্য কম দামের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানির করায় ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের বড় আমদানিকারক হয়ে ওঠে ভারত। ওয়াশিংটনের বার বার সমালোচনার পরও মস্কো ও বেইজিংয়ের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভারত।

চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক রয়েছে। একই সঙ্গে এসসিও সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মোদি। বৈঠকের পর চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং অংশীদার হবে ভারত।

এদিকে, হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হামলার আগে ভারত কার্যত রাশিয়ান তেল কিনতই না। খুবই সামান্য পরিমাণে কিনতো। এখন কী হচ্ছে? রাশিয়ার তেল পরিশোধনকারীরা ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে। ভারত তা পরিশোধন করে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্র সচল থাকছে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার তেল নিষিদ্ধ করেনি। আগস্টের শুরুর দিকে স্বল্প সময়ের জন্য কেনা বন্ধ থাকলেও ভারতীয় পরিশোধনকারীরা রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া গত সপ্তাহে ব্যারেলপ্রতি ২.৫০ ডলার ছাড়ে দেওয়ায় রাশিয়ার সস্তা গ্রেডের ইউরালস কেনার বিষয়ে ভারতীয় পরিশোধনকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ জুলাই মাসে ওই গ্রেডের তেলে মাত্র ১ ডলার ছাড় দিয়েছিল মস্কো। এর বিপরীতে, মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৩ ডলার বাড়তি ছিল।

রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের প্রধান গ্রেড হলো ইউরাল। যা পশ্চিমা বিভিন্ন বন্দর থেকে রপ্তানি করা হয়।