বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে আদালতে এলেন রিফাত শরীফের স্ত্রীও সাক্ষী থেকে প্রধান আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মিন্নিসহ ৯ আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করবেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতে আসেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। এ সময় তার সঙ্গে তার বাবা ও চাচা ছিলেন। এর আগে, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা মাইঠা এলাকার বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা আজ। রায় ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে গোটা আদালত প্রাঙ্গণ। আদালত ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
বুধবার সকালে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। আদালতে আসা আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানুষকে তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করে। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে তারা। গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই মারা যান।
ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ৮ জানুয়ারি একই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক ৮ আসামি উচ্চ আদালত ও বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে জামিনে রয়েছে।