বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা : কাজী এরশাদুল আলম। ২০০৮ সালে ব্যাংক এশিয়ার কার্ড বিভাগের সহকারী রিলেশনশিপ অফিসার হিসেবে চাকরি শুরু করেছে। চাকরিতে যোগদান’র সময় নিজেকে ‘বিবিএ” পাস দাবি করে সেই সময় চাকরিতে প্রবেশ করেন এরশাদ। এরশাদুল আলম’র সার্টিফিকেটএ দাবি করা হচ্ছে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
বিবিএ পাস করেছেন তিনি। কিন্তু; অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশে এই নামে কোনো ক্যাম্পাস নেই তারপরেও ডিজিটাল যুগের সরঞ্জাম অনলাইন ব্যবহার করে চেক করা হয়েছে, সেখানেও এই নামে কোনো ইউনিভার্সিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং ২০১০ এর শেষের দিকে তিনি ‘অতীশ দীপংকর ইউনিভার্সিটি’ থেকে ‘এমবিএ’ পাস সার্টিফিকেট নিয়ে ব্যাংক এশিয়ায় জমা দেয়, সেটিও ছিলো টাকার বিনিময়ে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ১৩-১৪ বছর ধরে এই ভূয়া সার্টিফিকেট এ সে ‘ব্যাংক এশিয়ায়’ চাকরি করছে. নাকি বেসরকারি ব্যাংক চাকুরীতে নিয়োগের সময় সার্টিফিকেট ভালভাবে যাচাই না করেই চাকুরী দেয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এর বেঁধে দেয়া নিয়মকে তোয়াক্কা করে না? “
এই বিষয় ইউ.জি.ছি বলছে the International University নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে নাই বা নিবন্ধন ও নাই।
UGC (ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন) থেকে বলা হয়েছে সম্পূর্ণ ভূয়া সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সনামধন্য ব্যাংকে চাকরী করেছে এই প্রতারক।