প্রতিবাদে ফুঁসছে সারা দেশ। জোরালো হচ্ছে ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের বিচার ও সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের দাবি। নড়েচড়ে বসেছে রাষ্ট্রও। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিতের জোরালো দাবির মুখে আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধনের প্রস্তাব উঠছে।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল আইন আর প্রতিবাদেই রাশ টানা যাবে না যৌন সহিংসতার। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন, দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকে। পাশাপাশি বদলাতে হবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫টি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজে প্রোথিত নারী-বিদ্বেষ, অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও পার পেয়ে যাওয়ায় সংস্কৃতির কারণেই কমছে না এ ধরনের অপরাধ। আর সেক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।
কটূক্তি করায় আকন্দকে ৩ মাস আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে হবে
সামাজিক আন্দোলনের রাজনীতিকরণও অনেক সময় মূল উদ্দেশ্য আদায়ে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য তাদের।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক সাইদুর রশিদ সুমন বলেন, বিচার প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে অপরাধী বা ধর্ষকবান্ধব। ভিকটিম বান্ধব না। একটা ধর্ষক ভাববে, আমার বিচার হবে না। বিচার হলেও মানুষ মনে ভাববে না।
তিনি আরো বলেন, একজন ধর্ষক মনে করেন আমার বিচার হবে না। আমার বড় ভাই এবং গডফাদাররা আমাদের বিচারের কাঠগড়া থেকে টেনে তুলবেন। তাইলে আপনি মৃত্যুদণ্ড কেন, আরো অনেক কঠোর আইন করেও এ জাতীয় সামাজিক অপরাধ বন্ধ করতে পারবেন না।