ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ

আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:২০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১৪২ বার পড়া হয়েছে

করোনা মহামারির কারণে লকডাউন পরিস্থিতি শেষে ভাবিক কর্মজীবন শুরু হলেও গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ৪৩১৫ জন নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৫৮ জনই স্বামী দ্বারা এবং শিশুরা বাবা-মায়ের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়া আছে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশরের (এমজেএফ) এক জরিপে এমনটাই দেখা গিয়েছে। নতুনভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানার জন্য এমজেএফ গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই জারপটি চালায়।

এই নির্যাতনকারীদের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী এদের মধ্যে ৮৯ জন অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি সংখ্যকই মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এরপরেই আছে ৮২ জন দুস্কৃতকারী ও ৫৩ জন চাকরিদাতা। আরও যারা নির্যাতন করেছে তারা হচ্ছে রাজনৈতিক দলের কর্মী, ছাত্র ও সুপারভাইজার ও সামাজিকভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি।

এমজেএফ গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তার কর্মএলাকার ৫৯টি জেলার ১৭৪ উপজেলায় মোট ৭২,৬৪৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৪৬৫২১ জন নারী ও ২৬১২৪ শিশু। মোট ৪৪২৮টি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মানসিক নির্যাতনের শিকার ১৯৮০ জন, শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১২৪৪ জনকে, অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার ১১৬৪ এবং যৌন হয়রানির শিকার ৪০ জন। এই দুই মাসে মোট ১০৮১ শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়েশিশুর সংখ্যা ৬৬৩ আর ছেলেশিশু ৪১৮।

এমজেএফ বলেছে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে শিশুদের মধ্যে শতকরা ৭৭ ভাগই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১৭৬৭ জন নারী ও শিশুদের মধ্যে ৮৭২ জন এর আগে কখনোই সহিংসতার শিকার হননি। শতকরা হিসেবে ৮১ ভাগ শিশু ও ৫৫ জন নারী নতুন আক্রান্ত হয়েছে এই দুই মাসে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারি ছুটির মধ্যে নারী নির্যাতন বাড়বার কথা জানিয়েছিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। তাদের এক জরিপ বলছে, শুধু এপ্রিল মাসেই দেশে ৪২৪৯ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন। এখন দেখা যাচ্ছে, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এলেও নির্যাতন কমেনি।

আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে

আপডেট সময় : ১০:২০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

করোনা মহামারির কারণে লকডাউন পরিস্থিতি শেষে ভাবিক কর্মজীবন শুরু হলেও গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ৪৩১৫ জন নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৫৮ জনই স্বামী দ্বারা এবং শিশুরা বাবা-মায়ের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়া আছে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশরের (এমজেএফ) এক জরিপে এমনটাই দেখা গিয়েছে। নতুনভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানার জন্য এমজেএফ গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই জারপটি চালায়।

এই নির্যাতনকারীদের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী এদের মধ্যে ৮৯ জন অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি সংখ্যকই মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এরপরেই আছে ৮২ জন দুস্কৃতকারী ও ৫৩ জন চাকরিদাতা। আরও যারা নির্যাতন করেছে তারা হচ্ছে রাজনৈতিক দলের কর্মী, ছাত্র ও সুপারভাইজার ও সামাজিকভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি।

এমজেএফ গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তার কর্মএলাকার ৫৯টি জেলার ১৭৪ উপজেলায় মোট ৭২,৬৪৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৪৬৫২১ জন নারী ও ২৬১২৪ শিশু। মোট ৪৪২৮টি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মানসিক নির্যাতনের শিকার ১৯৮০ জন, শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১২৪৪ জনকে, অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার ১১৬৪ এবং যৌন হয়রানির শিকার ৪০ জন। এই দুই মাসে মোট ১০৮১ শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়েশিশুর সংখ্যা ৬৬৩ আর ছেলেশিশু ৪১৮।

এমজেএফ বলেছে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে শিশুদের মধ্যে শতকরা ৭৭ ভাগই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১৭৬৭ জন নারী ও শিশুদের মধ্যে ৮৭২ জন এর আগে কখনোই সহিংসতার শিকার হননি। শতকরা হিসেবে ৮১ ভাগ শিশু ও ৫৫ জন নারী নতুন আক্রান্ত হয়েছে এই দুই মাসে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারি ছুটির মধ্যে নারী নির্যাতন বাড়বার কথা জানিয়েছিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। তাদের এক জরিপ বলছে, শুধু এপ্রিল মাসেই দেশে ৪২৪৯ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন। এখন দেখা যাচ্ছে, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এলেও নির্যাতন কমেনি।