অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জামিন আবেদন মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে আদেশের জন্যে আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের নির্ধারিত দিনে আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
দুদকের করা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আত্মসমর্পণের পরে মীর নাছির আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) দায়ের করেন। একইসঙ্গে জামিনও চান আপিল বিভাগে। ওই আবেদনের শুনানি শেষ হয় ১৫ নভেম্বর। আর আজ আদেশের নির্ধারিত দিনে সেটি ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এর আগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছিরকে আলাদা ধারায় ৩ বছর ও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন।
আ. লীগ নেতাকে খুন করে মরদেহ পোড়ানোর মামলার রায় ফের পেছাল
এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দু’টি আপিল করেন।
হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে মীর নাছিরকে ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন আবারও হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। সেই অনুসারে ওই আপিল দু’টির শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন আদালত।