ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেবরের হাতেই প্রাণ গেল ভাবির

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০২:০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১০৪০ বার পড়া হয়েছে

পরকীয়া প্রেমের টানেই ১০ বছরের ছোট দেবরের সঙ্গে স্বামীর সংসার ছেড়েছিলেন তিন সন্তানের জননী শাহিদা জাহান সুমি। শেষ পর্যন্ত সেই দেবরের হাতেই প্রাণ দিতে হলো তাকে।চট্টগ্রাম নগরের এক হোটেলে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম সুজন (২৫) নামে এক যুবককে গতকাল রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ১১ টার দিকে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের “রোজ উড’ নামে একটি আবাসিক হোটেলের ৮০২ নং কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্তে নেমে সুজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পারে, ওই নারীর নাম শাহিদা জাহান সুমি (৩৫)। তিনি বিবাহিত। তার স্বামী ও তিন সন্তান আছে। গ্রেপ্তার সুজনের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।

মামলা তদন্তকালে হোটেলের রেজিস্ট্রার, ওই যুবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেল রুমে প্রাপ্ত আলামত পর্যালোচনা করে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত আশরাফুল ইসলাম ওরফে সুজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। সুজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে ভিকটিম সুমির শ্বশুর বাড়ির পাশে। সম্পর্কে সুমির দেবর হন সুজন। তবে সুজন মা-বাবাদের সাথে থাকেন ঢাকার উত্তরায়।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে হালিশহর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজীর চট এলাকা থেকে দুলাভাইয়ের বাসায় আত্মগোপনরত অবস্থায় ঘাতক আশরাফুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিদা খুনের ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন। সুজন পুলিশকে জানান, তিনি মা-বাবার সাথে ঢাকার উত্তরায় নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। উত্তরা ল্যাব এইড হাসপাতালে রিপোর্ট ডেলিভারি সেকশনে চাকুরি করেন। ভিকটিম শাহিদা জাহান সুমির (৩৫) স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর। বাবার নাম- গোলাম রসুল বাচ্চু৷ ৩ সন্তানের সাথে বন্দর থানা এলাকার বাবার বাড়ি কলসী দিঘীর পাড়ে বসবাস করতেন শাহিদা।

[irp]

দেবরের হাতেই প্রাণ গেল ভাবির

আপডেট সময় : ০২:০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পরকীয়া প্রেমের টানেই ১০ বছরের ছোট দেবরের সঙ্গে স্বামীর সংসার ছেড়েছিলেন তিন সন্তানের জননী শাহিদা জাহান সুমি। শেষ পর্যন্ত সেই দেবরের হাতেই প্রাণ দিতে হলো তাকে।চট্টগ্রাম নগরের এক হোটেলে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম সুজন (২৫) নামে এক যুবককে গতকাল রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ১১ টার দিকে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের “রোজ উড’ নামে একটি আবাসিক হোটেলের ৮০২ নং কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্তে নেমে সুজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পারে, ওই নারীর নাম শাহিদা জাহান সুমি (৩৫)। তিনি বিবাহিত। তার স্বামী ও তিন সন্তান আছে। গ্রেপ্তার সুজনের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।

মামলা তদন্তকালে হোটেলের রেজিস্ট্রার, ওই যুবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেল রুমে প্রাপ্ত আলামত পর্যালোচনা করে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত আশরাফুল ইসলাম ওরফে সুজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। সুজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে ভিকটিম সুমির শ্বশুর বাড়ির পাশে। সম্পর্কে সুমির দেবর হন সুজন। তবে সুজন মা-বাবাদের সাথে থাকেন ঢাকার উত্তরায়।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে হালিশহর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজীর চট এলাকা থেকে দুলাভাইয়ের বাসায় আত্মগোপনরত অবস্থায় ঘাতক আশরাফুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিদা খুনের ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন। সুজন পুলিশকে জানান, তিনি মা-বাবার সাথে ঢাকার উত্তরায় নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। উত্তরা ল্যাব এইড হাসপাতালে রিপোর্ট ডেলিভারি সেকশনে চাকুরি করেন। ভিকটিম শাহিদা জাহান সুমির (৩৫) স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর। বাবার নাম- গোলাম রসুল বাচ্চু৷ ৩ সন্তানের সাথে বন্দর থানা এলাকার বাবার বাড়ি কলসী দিঘীর পাড়ে বসবাস করতেন শাহিদা।

[irp]