কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা, হুমকি ও কমিটির নেতৃবৃন্দ সম্বন্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাজিতপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ।
এ সময় উপজেলা কমিটির আহবায়ক নজরুল ইসলাম খোকন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগকে সাংগঠনিক মাস ঘোষণার পর থেকে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে মাঠে নামে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। তার অংশ হিসেবে গত ৩০ মার্চ বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ইউনিয়নে সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিব ও সহ- সভাপতি কাউসার এর নেতৃত্বে সদস্য সংগ্রহ করার জন্য কাজ শুরু করলে স্থানীয় সংসদ সদস্য (নিকলী-বাজিতপুর) আফজাল হোসেনের ভাগীনা গাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েলের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এসময় মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এছাড়াও ৩১ মার্চ সেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ রফিকুন্নবী সাথীর বাড়িতেও এমপি’র লোকজন হামলা চালায়।তিনি আরো বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে আত্মীয় লীগে পরিণত করেছেন। দলের বেশিরভাগ পদে তার পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজনদের স্থান দিয়েছে। সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতেও তার আত্মীয় স্বজনদের স্থান দিতে চেয়েছিলেন।
সংসদের মন মতো না হওয়ায় তার মদদে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়া সত্বেও আমাদেরকে জামায়াত শিবির বলা হচ্ছে। বর্তমানে বাজিতপুর আওয়ামী লীগও ধ্বংসের পথে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। এখন পর্যন্ত হামলার বিচার না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম পারভেজ, নূরে আলম, আলমগীর হোসেন, জিয়াউল হক ভূইয়া, সদস্য ছালামত আলী শাহ জুয়েল, হারুন অর রশীদ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।