ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

পরকীয়া দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে খুন

Habibur Rahman Monna
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৫৭ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা।।

কুমিল্লায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা মিলে সায়মন নামের এক শিশুকে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলে।  এঘটনায় জড়িত মো. খেলু পাঠানের ছেলে মো. বিল্লাল পাঠান (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

জানা গেছে, এবছরের ১৬ আগস্ট থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের খোরশেদা আক্তারের (৪০) ছেলে সায়মন (৭) নিখোঁজের পর ১৯ আগস্ট সকালে কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি বালুর মাঠের ঝোপে শিশু সায়মনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুর মা খোরশেদা আক্তার তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এঘটনার পর পুলিশ মো. বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সে এবং এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেফালী আক্তার (৪২) জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায় যে, শেফালী আক্তার সম্পর্কে তার জেঠা (স্ত্রীর বড় বোন)। শেফালীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের মাঝে একটা অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১৬ আগস্ট বিকেলে বিল্লাল পাঠান ও শেফালী অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঐ বাড়িতে খেলতে যাওয়া শিশু সায়মন তাদেরকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে।

এসময় সায়মন বলে যে, “দেখে ফেলেছি হগলরে (সকলকে) বলে দিবো।” শিশু সায়মনের এমন কথা শুনে বিল্লাল আতঙ্কিত হয়ে সায়মনের গলা ও মুখ চেপে ধরে। একই সাথে সায়মন যেন এই কথা কাউকে জানাতে না পারে এটি নিশ্চিত করার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে। শেফালী তার ঘরে থাকা আলমারির ওপর থেকে ছুরি এনে দিলে আসামি বিল্লাল শিশু সায়মনের বুকের দুই পাশে তিন থেকে চারটি গভীর ছুরিকাঘাত করে। এভাবে সে দাঁড়িয়ে থেকে শিশু সায়মনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আসামি বিল্লাল ও শেফালী ঘরে থাকা প্লাস্টিকের বস্তায় সায়মনের লাশ ঢুকিয়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। রাত ১২টার পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শেফালী আক্তারকে ঘটনার চারদিন পর গত ২০ আগস্ট ডিবির তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. বিল্লাল পাঠানের নামে দুইটি মারামারির মামলা আছে।

দৈনিক আস্থা/মুন্না 

পরকীয়া দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে খুন

আপডেট সময় : ০৬:২১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা।।

কুমিল্লায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা মিলে সায়মন নামের এক শিশুকে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলে।  এঘটনায় জড়িত মো. খেলু পাঠানের ছেলে মো. বিল্লাল পাঠান (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

জানা গেছে, এবছরের ১৬ আগস্ট থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের খোরশেদা আক্তারের (৪০) ছেলে সায়মন (৭) নিখোঁজের পর ১৯ আগস্ট সকালে কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি বালুর মাঠের ঝোপে শিশু সায়মনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুর মা খোরশেদা আক্তার তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এঘটনার পর পুলিশ মো. বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সে এবং এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেফালী আক্তার (৪২) জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায় যে, শেফালী আক্তার সম্পর্কে তার জেঠা (স্ত্রীর বড় বোন)। শেফালীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের মাঝে একটা অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১৬ আগস্ট বিকেলে বিল্লাল পাঠান ও শেফালী অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঐ বাড়িতে খেলতে যাওয়া শিশু সায়মন তাদেরকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে।

এসময় সায়মন বলে যে, “দেখে ফেলেছি হগলরে (সকলকে) বলে দিবো।” শিশু সায়মনের এমন কথা শুনে বিল্লাল আতঙ্কিত হয়ে সায়মনের গলা ও মুখ চেপে ধরে। একই সাথে সায়মন যেন এই কথা কাউকে জানাতে না পারে এটি নিশ্চিত করার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে। শেফালী তার ঘরে থাকা আলমারির ওপর থেকে ছুরি এনে দিলে আসামি বিল্লাল শিশু সায়মনের বুকের দুই পাশে তিন থেকে চারটি গভীর ছুরিকাঘাত করে। এভাবে সে দাঁড়িয়ে থেকে শিশু সায়মনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আসামি বিল্লাল ও শেফালী ঘরে থাকা প্লাস্টিকের বস্তায় সায়মনের লাশ ঢুকিয়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। রাত ১২টার পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শেফালী আক্তারকে ঘটনার চারদিন পর গত ২০ আগস্ট ডিবির তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. বিল্লাল পাঠানের নামে দুইটি মারামারির মামলা আছে।

দৈনিক আস্থা/মুন্না