নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
শার্শা প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তের বিওপির জেলেপাড়া পোস্টসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রইস উদ্দীন হত্যাসহ গত ৩ বছরে শুধুমাত্র বেনাপোল-শার্শা সীমান্তে ৫ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। এছাড়া সীমান্ত থেকে অজ্ঞাত অনেক মরদেহ উদ্ধার হলেও দুর্বল তদন্তে তার জট খোলেনি।
বিজিবি সদস্য হত্যার ঘটনায় বেনাপোলের ঘিবা গ্রামের আব্দুল বারি জানান, তিনি ভোর রাতে পর পর ৭ রাউন্ড গুলির শব্দ পান। পরে ভোরে লোক মুখে শুনতে পান এক বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। এটি দুঃখজনক ঘটনা।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল আহম্মেদ প্রেস লিস্ট দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপি`র জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারীদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত: বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দীন চোরাকারবারীদের পিছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্ত সৈনিক মারা গেছেন। এ বিষয়ে বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়। এরপর আজ ভোরে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।