যৌক্তিক সময় যেন সীমাহীন না হয়-মঈন খান
আস্থা ডেস্কঃ
সরকার যে সংস্কার করতে চায়, তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ধৈর্য ধারণ করে যৌক্তিক সময় দেয়া উচিত। তবে সরকারকেও ভাবতে হবে সে সময় যেন সীমাহীন না হয়। তা না হলে ছাত্র-জনতার আবারো মাঠে নামতে হতে পারে। জনগণের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি’ আয়োজিত ‘জনগণের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও সংস্কার আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতক দলগুলোর করণীয় কী? এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেয়া হয়।
‘জিয়ার নদী-খাল খনন প্রকল্প অব্যাহত থাকলে বন্যার তীব্রতা কম হত’
আব্দুল মঈন খান বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন চেতনা জেগেছে। ফলে বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করা দরকার। তিনি বলেন, একবার-দুইবার নয়। শেখ হাসিনার মতো একজন দুইবার থাকলেই দেশের ১২টা বেজে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ওপর ছাত্র-জনতার আস্থা নেই। আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদেরই কাজ করতে হবে। আত্ম-সমালোচনার পাশাপাশি নিজেদের আচরণে সংস্কার আনতে হবে। ভিন্নমত না থাকলে গণতন্ত্র আসে না। গত ১৬ বছর আমরা এই ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারিনি বলেই, দেশে দুর্যোগ নেমে এসেছিলো। পরিশেষে স্বৈরাচার সরকারের পালায়নের মাধ্যমে আমরা ফের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি, এটা কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, যারাই দেশ শাসন করেন, ভিন্নমতের গুরত্ব স্বীকার করে নিলে, রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয় না। তবে আজকের পরিস্থিতিতে রয়েছি, সেখানে সরকারের আইনের বাধ্যকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। কারণ এ সরকার ব্যর্থ হলেই দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণফোরামের নেতা এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির তানিয়া রব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, জয়যাত্রার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এডভোকেট মাহমুদা মুন্নী প্রমুখ।
সভা সঞ্চলানা করেন দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার।