দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

- আপডেট সময় : ১১:৫২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১১৬৭ বার পড়া হয়েছে
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের সঙ্গে গাজা অভিমুখে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে ফুল দিয়ে বরণ করতে আসেন তার সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ভোর ৫টার কিছুক্ষণ পর তিনি বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে তার সেই যাত্রার বর্ণনা দেন।
শহিদুল আলম বলেন, গাজার মানুষ এখনো আক্রান্ত। এখনো তাদের ওপর নির্যাতন চলছে এবং সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ না হয়, আমাদের কাজ শেষ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক মানুষকে ধন্যবাদ জানাবো। বাংলাদেশি যারা সারা পৃথিবী থেকে সাড়া দিয়েছে, দোয়া করেছে, ভালোবাসা পাঠিয়েছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, শহিদুল আলম আজ ভোরে দেশে ফিরবেন। তাকে বহনকারী বিমানটি ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে। অবশেষে তিনি ফিরলেনও।
এর আগে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে শহিদুল আলম তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুলে পৌঁছেন। সেখানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তাকে স্বাগত জানান।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুর রহমান জানান, শহিদুল আলমের ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকার ফেরার ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রায় অংশ নেন।
ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ শহিদুল আলমকে আটক করার পরপরই বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মুক্তির জন্য দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।