ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ১৬ জনের মৃত্যুর

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬৪ বার পড়া হয়েছে

লিবিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ডুবে ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশিসহ ২২ জনকে। আর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের।

যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের দুইজন সিরিয়া এবং একজন ঘানার নাগরিক।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর উদ্বৃতি দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে শরণার্থী ‌ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা লিবিয়ার উপকূলে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশিসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া এতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, নৌকাডুবির পর যে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা মিশর, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, নাইজার, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ঘানার নাগরিক। তাঁদেরকে লিবিয়ার একটি ক্যাম্পে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

আইওএমের মুখপাত্র সাফা মেশেলি উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজস করে মাছ ধরার নৌকায় ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। 

এ নিয়ে চলতি এটি দ্বিতীয় নৌকাডুবির ঘটনা। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশটির উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়।

ইউরোপ পৌঁছানোর জন্য অভিবাসী এবং শরণার্থীদের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে লিবিয়া।

আইওএম-এর তথ্য অনুসারে, দেশটিতে বর্তমানে ছয় লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছেন। যুদ্ধ ও হানাহানিতে লিপ্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা অভিবাসনের প্রত্যাশায় ইউরোপে প্রবেশের জন্য লিবিয়াকে প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে সাগরপথের এ রুটটি বিশ্বের ভয়ঙ্কর রুটগুলোর একটি।

আইওএম-এর তথ্য আরো বলছে, কেবল চলতি বছরই আফ্রিকার উপকূল থেকে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৬২০ জনের সলিল সমাধি হয়েছে। আর ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় মারা গেছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

ট্যাগস :

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ১৬ জনের মৃত্যুর

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

লিবিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ডুবে ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশিসহ ২২ জনকে। আর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের।

যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের দুইজন সিরিয়া এবং একজন ঘানার নাগরিক।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর উদ্বৃতি দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে শরণার্থী ‌ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা লিবিয়ার উপকূলে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশিসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া এতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, নৌকাডুবির পর যে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা মিশর, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, নাইজার, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ঘানার নাগরিক। তাঁদেরকে লিবিয়ার একটি ক্যাম্পে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

আইওএমের মুখপাত্র সাফা মেশেলি উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজস করে মাছ ধরার নৌকায় ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। 

এ নিয়ে চলতি এটি দ্বিতীয় নৌকাডুবির ঘটনা। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশটির উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়।

ইউরোপ পৌঁছানোর জন্য অভিবাসী এবং শরণার্থীদের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে লিবিয়া।

আইওএম-এর তথ্য অনুসারে, দেশটিতে বর্তমানে ছয় লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছেন। যুদ্ধ ও হানাহানিতে লিপ্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা অভিবাসনের প্রত্যাশায় ইউরোপে প্রবেশের জন্য লিবিয়াকে প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে সাগরপথের এ রুটটি বিশ্বের ভয়ঙ্কর রুটগুলোর একটি।

আইওএম-এর তথ্য আরো বলছে, কেবল চলতি বছরই আফ্রিকার উপকূল থেকে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৬২০ জনের সলিল সমাধি হয়েছে। আর ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় মারা গেছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।